ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মানুষের হৃদয় স্পর্শ করার ট্রেনিং কতটুকু পাচ্ছি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সিনিয়র করেওপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
মানুষের হৃদয় স্পর্শ করার ট্রেনিং কতটুকু পাচ্ছি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ঢাকা: ডিমেনশিয়া রোগীর সেবা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করার ট্রেনিং কতটুকু পাচ্ছি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের বিনিয়োগ ভবনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে 'ডিমেনশিয়া যত্ন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নূরজাহান বেগম বলেন, বলা হচ্ছে আমাদের দেশে ১১ লাখের বেশি ডিমেনশিয়া রোগী আছে, এর মধ্যে ৮ লাখ ৩০ হাজার নারী রোগী রয়েছে। নারী রোগী বেশি হওয়ার কারণ কি? নারীরা তাদের কষ্ট কাউকে বলতে পারে না, কথা না বলতে পাড়ার কারণে তাদের মস্তিকের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? এটা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে কি না জানি না। এটা নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া উচিত। আরও দেখা উচিত, এসব নারীরা কি গ্রামের না শহরকেন্দ্রিক।

তিনি আরও বলেন, ডিমেনশিয়া রোগীদের একটু স্বাছন্দ্য দেওয়ার জন্য কোন জিনিস বেশি জরুরি, আমার মনে হয়, আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীকে বোঝা। তার কষ্টকে নিজের মতো করে অনুভব করা। কেয়ার গিভার হোক কিংবা যে ডিমেনশিয়া রোগীকে সেবা করবেন, তার যেন সেই বোধ তৈরি হয়, রোগীর হৃদয় যদি আমি ছুঁতে পারি, সেই ট্রেনিং আমাদের দরকার। আমরা বিভিন্ন রকম ট্রেনিং নেই, অনেক রকম ট্রেনিং আছে, কিন্তু মানবিক ট্রেনিং কতটুকু, মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করার ট্রেনিং আমি কতটুকু দিচ্ছি- পাচ্ছি। এ বোধ ট্রেনিংয়ে আরও বেশি করে থাকা দরকার।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. আজিজুল হক।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ডিমেনশিয়া মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় ডিমেনশিয়া নীতিমালা প্রণয়ন করা, যা ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসা এবং সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করবে। ডিমেনশিয়া বিষয়ে স্কুল, কলেজ এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে ডিমেনশিয়ার সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, যাতে মানুষ বুঝতে পারেন এটি একটি মস্তিষ্কের রোগ, মানসিক রোগ নয়।

তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ ডাক্তার তৈরি করা যাতে ডিমেনশিয়া দ্রুত শনাক্ত করা যায়। বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ডে কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। সঠিক এবং দক্ষ কেয়ারগিভার তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান। ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের জন্য আইনগত সহায়তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা, যাতে তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
আরকেআর/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।