ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

ফুটবল

নারী ফুটবল লিগে শুরু হচ্ছে পুল প্রথা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
নারী ফুটবল লিগে শুরু হচ্ছে পুল প্রথা 

দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। অথচ এই চ্যাম্পিয়ন দেশের নারী ফুটবল লিগের বেহাল দশা।

প্রায় ১৩ বছর আগে দেশে নারী লিগ প্রতিষ্ঠা পেলেও সেভাবে এগোয়নি। এক যুগে যে মোট ছয়বার আয়োজিত হয়েছে নারী ফুটবল লিগ; অধারাবাহিকতা তো আছেই, সেই সঙ্গে মান নিয়েও বারবারই উঠেছে প্রশ্ন।  

তবে এবার লিগের অবকাঠামো এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নারী লিগে অংশ নেওয়া দলগুলো আজ রোববার বসেছিল এক মতবিনিময় সভায়। ২০২৫ সালের লিগ নিয়ে হওয়া এই সভায় অবশ্য কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। তবে একটা জায়গায় মিলেছে ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোর ভাবনা। আসন্ন লিগে ফুটবলারদের জন্য পুল প্রথা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে একাধিক ক্লাব। বিষয়টি আমলে নিয়েছে ফেডারেশন।

বৈঠক শেষে বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ক্লাবগুলোর আলোচনার প্রেক্ষিতে খেলোয়াড়দের পুল করার বিষয়টি এসেছে। এতে দলগুলো প্রায় সমশক্তির এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান বাড়বে। ’ 

বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিতে পুল নিয়ে আছে নেতিবাচক ধারণা। জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে পুরুষ ফুটবলে পুল প্রথায় অনেক তারকা ফুটবলার পাননি প্রাপ্য সম্মানি; আবার দলও পাননি অনেকে- এমন ঘটনাও ঘটেছে। পুল ভাবনায় গেলে নারী ফুটবলারদের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে বলে ধারণা অনেকের। তবে নারী উইয়ের প্রধান অবশ্য শুনিয়েছেন আশার বাণী, ‘পুল হলেও ফুটবলাররা যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেই বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে। ’

নারী লিগ নিয়ে দেখার বিষয় আছে অনেক কিছুই। বিশেষ করে এক-দেড় মাসের লিগ নিয়ে আপত্তি আছে ফিফারও। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি বাফুফেকে নির্দেশনা দিয়েছে লিগের কলেবর বাড়াতে। সেটি মাথায় রেখেই লিগ আয়োজন করতে চান মাহফুজা আক্তার, ‘ফিফার স্বীকৃতি পেতে হলে লিগের দৈর্ঘ্য ছয় মাস এবং ৯০ ম্যাচ হতে হবে। ক্লাবগুলোকে বিষয়টি বলা হয়েছে। ক্লাবগুলো এজন্য ফেডারেশনের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। বিষয়টি সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে আমি আলোচনা করব। ’ 

এছাড়া নারী ফুটবল লিগ আয়োজনের আগে বড় একটি সমস্যার নাম ক্লাবগুলোর আবাসন সঙ্কট। এমন অনেক ক্লাবই আছে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যারা নারী লিগে অংশ নিতে পারে না কেবল আবাসন সঙ্কটের কারণে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে লিগ চললে খেলোয়াড়দের হোটেলে রাখার মতো ব্যয় বহন করা সম্ভব না অনেক ক্লাবের পক্ষেই। তাই ছয় মাসের লিগ আয়োজনের পথে বাফুফে হাঁটতে চাইলে জানা যায় অনেক ক্লাবই আপত্তি জানায়। ফেডারেশন থেকে মাসে অন্তত ১০ লাখ টাকা পাওয়ার দাবি জানিয়েছে নাম প্রকাশ না করা একটি ক্লাব।

বাফুফের মতবিনিময় সভায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি উপস্থিত ছিল। দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, মোহামেডান আসেনি। পেশাদার লিগের ক্লাবগুলোকে সভার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৫
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।