ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

লাউয়াছড়ায় ‘শঙ্খিনী’ সাপ অবমুক্ত    

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
লাউয়াছড়ায় ‘শঙ্খিনী’ সাপ অবমুক্ত    

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ প্রজাতির একটি ‘শঙ্খিনী সাপ’ (Banded Krait) উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। পরে সাপটিকে বন বিভাগের সহায়তায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়েছিল।

শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, শহরের পূর্বাশা এলাকার স্থানীয় একজন বাসিন্দার বাসার উঠানে একটি অপরিচিত সাপ ঢুকে পড়ে এবং সাপটি দেখে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বুধবার দুপুরে আমার কাছে এমন একটি ফোনকল আসে। সাপের শরীরজুড়ে হলুদ ও কালো রঙের ডোরাকাটা দাগ। খবর পেয়ে আমি বন বিভাগের এফজি সুব্রত সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সাপটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করি।

তিনি বলেন প্রাণীটি হয়তো খাবারের সন্ধানে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে শঙ্খিনী সাপটিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শঙ্খিনী সাপটি বিষধর প্রজাতির। একে ‘ডোরা কাল-কেউটে’ বা ‘ডোরা শঙ্খিনী’ সাপও বলে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) ‘লাল তালিকায় সাপটিকে ‘এলসি’ বা ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ প্রজাতির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই সাপটি বিষধর প্রজাতির। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী এই সাপটি সংরক্ষিত। এ প্রজাটিকে তার আবাসস্থল থেকে আটক করা, পাচার করা বা হত্যা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
বিবিবি/এএটি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।