ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

ফরিদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খাঁচায় মধু চাষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
ফরিদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খাঁচায় মধু চাষ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় শীত মৌসুমে শুরু হওয়া খাঁচায় মধু চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে খাঁচায় উৎপাদিত খাঁটি মধু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌমাছিরা এখন কালোজিরা ও ধনিয়া ফুল থেকে মধু আহরণে বেজায় ব্যস্ত।  

উপজেলার দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে কালোজিরা ফুল ফুটেছে। সরাসরি না দেখলে সেই মনোরম সৌন্দর্য উপলব্ধি করা কঠিন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের পাশে খাঁচা বানিয়ে চাষ করছেন মৌমাছি।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুচাষিরা খাঁচা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। নওপাড়া, পরীক্ষেতপুর, গাজনা, হাটগোপালদী এলাকার বিভিন্ন ক্ষেতের চারপাশে চলছে খাঁচায় মৌমাছির চাষ।  

গাইবান্ধা জেলা থেকে আসা মধুচাষি মাহমুদুর রহমান মুকুল বলেন, এক মাস হলো আমরা ৬ জন এখানে এসেছি। এখন কালোজিরা ও ধনিয়া ফুলের মধু সংগ্রহ করেছি। প্রায় ৪০ দিন পর ৩৫০টি বক্সে থেকে দেড় মণ মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুল কম থাকায় এ বছর মধু গত বছরের তুলনায় কম। এখানে শেষ হলে আমরা দিনাজপুরে লিচু ফুলের মধু সংগ্রহে  চলে যাব।  

তিনি বলেন, এক কেজি খাঁটি মধু আমরা বিক্রি করছি ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। এ মধুতে কোনো প্রকার ভেজাল মেশানো নেই। তাই দাম একটু বেশি। দেশে-বিদেশে কালোজিরা, সরিষা, ধনিয়া, সরিষা, আমসহ বিভিন্ন ফুলের মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি, শিল্প কারখানায় মধু বিক্রি হচ্ছে।  

মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, খাঁচায় মৌ-চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই শীত মৌসুমে মধুখালীতে মৌচাষিরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে অস্থায়ীভাবে মৌ চাষ করেন। মৌ-চাষ দেখে এলাকার অনেক যুবক এতে আগ্রহী হচ্ছেন। ফুলে ফুলে মৌমাছির মধু আহরণে পরাগায়ণ ক্ষমতা বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।