ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

কৃষি

তিস্তা কমান্ড এলাকায় সেচ সরবরাহ শুরু, বোরো চাষে ধুম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
তিস্তা কমান্ড এলাকায় সেচ সরবরাহ শুরু, বোরো চাষে ধুম সেচ খালে পানি পেয়ে চারা রোপণে নেমেছেন কৃষকরা।

নীলফামারী: তিস্তা ব্যারেজ কমান্ড এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ক্যানেলগুলোতে সেচের পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে কমান্ড এলাকায় কৃষকরা বোরো চাষে মাঠে নেমে পড়েছেন।

তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইস গেইট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে এবার ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।  

নীলফামারীর জেলার ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার সেচ খালে পানি পেয়ে কৃষকরা চারা রোপণে নেমে পড়তে দেখা যায়।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমলেশ চন্দ্র রায় জানান, এবার ২০২৫ সালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুমের বোরো ধান উৎপাদনে সেচ লক্ষ্যমাত্র ৫৫ হাজার হেক্টর।  

তিনি জানান, নীলফামারী জেলায় ৩৬ হাজার হেক্টরে মধ্যে জলঢাকায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর, সৈয়দপুর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর ও ডিমলা উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর, রংপুর জেলায় ১২ হাজার হেক্টরের মধ্যে তারাগঞ্জ উপজেলায় তিন হাজার হেক্টর, বদরগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর, গঙ্গাচরা উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর ও রংপুর সদরে ৪ হাজার হেক্টর ও দিনাজপুর জেলায় ৭ হাজার হেক্টরের মধ্যে খানসামা উপজেলায় পাঁচশত হেক্টর, পার্বতীপুর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর চিরির বন্দর উপজেলায় সারে চার হাজার হেক্টর। জমিতে সেচ দিতে বুধবার থেকে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।  

সূত্র জানায়, তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত অন্যতম একটি অভিন্ন নদী। শুষ্ক মৌসুমে পানি ভাগাভাগি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ইস্যুটি একটি অমীমাংসিত সমস্যা। দুই দেশের সম্পর্কের আলোচনায় তিস্তা একটি বড় ইস্যু।  

সূত্র মতে, সেচ প্রকল্পের খাল নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে শুরু হয়ে রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১২টি উপজেলায় বিস্তৃত। মোট সেচ খালের দৈর্ঘ্য ৭৬৬ কিলোমিটার।  

বাপাউবোর উত্তরাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, এই প্রকল্পটি বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতার আংশিক ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১২টি উপজেলায় সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে এর সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে।  

তিনি জানান, ২০২৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।