ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

'ওয়াইল্ড ক্যাফেতে' সৃজনশীলদের আড্ডা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
'ওয়াইল্ড ক্যাফেতে' সৃজনশীলদের আড্ডা  'ওয়াইল্ড ক্যাফে' রেঁস্তোরার দিনের বেলার দৃশ্য

বান্দরবান: পর্যটন শহর বান্দরবানের 'ওয়াইল্ড ক্যাফেতে' সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বিকেলে জমে উঠে সৃজনশীল তরুণ-তরুণীদের আড্ডা। শহর থেকে একটু দূরে স্বর্ণ মন্দিরের খুব কাছেই প্রাকৃতিক পরিবেশে শৈল্পিক সব কারুকাজে সজ্জিত এ বন্য রেঁস্তোরাটি।

রেঁস্তোরাটির চারপাশে বাঁশ, বেত, ছন, পাহাড়ি লতাপাতা, চেনা-অচেনা বুনোফুলে ভরা। ভেতরটাতেও সব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি শিল্পকর্ম।

সন্ধ্যার পর বর্ণিল আলোকসজ্জা আর বাহারি লতাপাতায় শোভা বর্ধন করে রেখেছে চারপাশ। দিনভর পাখির কিচির মিচির শব্দ যেকোনো প্রকৃতিপ্রেমী ও সৃজনশীল মানুষের মন আকৃষ্ট করবে এ রেঁস্তোরাটি।

বাহারি সব খাবারের পসরা সাজিয়ে রাখা এই রেঁস্তোরায় নিত্য নতুন খাবারের স্বাদ পেতে চাইলে ঘুরে আসুন শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। বন্য এ রেঁস্তোরায় গেলেই দেখা মেলে পাহাড়ি পরিবেশ ও ঐতিহ্য সম্বলিত নানান কারুকাজ।
'ওয়াইল্ড ক্যাফে' রেঁস্তোরার রাতের বেলার দৃশ্য
কক্সাবাজার থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা মেশকাত সাদেক বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ের নানান সৌন্দর্য তুলে এনেছে এ রেঁস্তোরায়। নিরিবিলি ও প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে দারুন সময় কাটে এখানে। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে একটু সময় কাটাতে আসলে মনটাই ভালো হয়ে যাবে। খাবারের দাম একটু চড়া হলেও এখানে মুখরোচক অনেক ভিন্ন খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়।  

বান্দরবানের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাউসের মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অফিসার ক্য হ্লা থান বলেন, ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম, মনোরম ও নির্জন পরিবেশ। শহরের ভেতরে ছোট বাচ্চাদের বিনোদন কিংবা বেড়ানোর জায়গা নেই। তাই শহরের একটু দূরে এ রেঁস্তোরায় এসেছি বেশ ভালো লাগছে।  
'ওয়াইল্ড ক্যাফে' রেঁস্তোরার রাতের বেলার দৃশ্য
ওয়াইল্ড ক্যাফের ব্যবস্থাপক আলেক রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্থানীয় পাহাড়ি খাবারসহ দেশি-বিদেশি খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এ রেস্তোরায়। অল্প সময়ে পর্যটকসহ স্থানীয়দের বেশ সাড়া পেয়েছি আমরা। প্রতিদিনই এখানে আশানুরূপ পর্যটক আসেন। তবে বন্ধের দিনে একটু চাপ থাকে। ভবিষ্যতে আরও নিত্যনতুন খাবার আমরা পর্যটকদের উপহার দিতে পারবো’।

খুব শিগগিরই রিসোর্ট চালু করতে যাচ্ছেন জানিয়ে জানান ম্যানেজার বলেন, ওই রিসোর্টটিও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে গড়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটকদের পরিপূর্ণ সেবা নিশ্চিত করা ও চাহিদা পূরণই মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।