পূর্ব প্রকাশের পর...
উচু-নিচু পাহাড়ের সিমলায় দুইদিন অবস্থান শেষে গেলাম সমতল চন্ডীগড়ে। আমাদের যাত্রার শেষ গন্তব্য এই হরিয়ানা রাজ্যে ছোট্ট শহর চন্ডীগড়ই।
সিমলা থেকে চন্ডীগড় যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। এরমধ্যে তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। খুব ছিমছাম, সাজানো ও পরিকল্পিত শহর চন্ডীগড়।
ক্রমান্বয়ে গড়ে উঠছে পর্যটন নগরী হিসেবে। চন্ডীগড় পৌঁছেই বিকেলে বের হলাম শহর দর্শনের উদ্দেশ্যে। যা দেখার প্রথমদিনই দেখতে হবে।

undefined
কারণ পরের দিন সকালেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার কথা। চন্ডীগড়ের একটি আকর্ষণীয় জায়গা হল রক গার্ডেন। পাথর, ম্যালামাইন ও বিভিন্ন ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো এ পার্ক।
বিশাল আয়তনের এ পার্কটিতে রয়েছে কৃত্রিম ঝর্না, আয়না রুমসহ শিশুদের নানা রাইড। বেশ সুন্দর ও পরিপাটি এই জায়গাটিতে আরও সুন্দর করার জন্য চলছে অবকাঠামোগত কাজ।
রক গার্ডেনের কিছুটা দূরেই রয়েছে রোজ গার্ডেন ও সুকনা লেক। দেখার ও ঘোরার জন্য জায়গাগুলো নেহাত মন্দ নয়।

undefined
তবে অভিজাত শহর হিসেবে পরিচিত চন্ডীগড়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হল সেক্টর ১৭। এক কথায় একে কেনাকাটার স্বর্গরাজ্য বলা চলে!
যারা নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রতি আসক্ত তাদের জন্য সেক্টর ১৭ হল আদর্শ জায়গা। তবে এ জায়গা আমাদের মতো ছা-পোষাদের জন্য নয়! কারণ অভিজাত এলাকার জিনিসের দামও যে সেরকম অভিজাত!

undefined
এসব জায়গা ঘুরতে ঘুরতে রাত নেমে এল। ভ্রমণ হল সাঙ্গ। পরের দিন সকালেই রওয়ানা হলাম দিল্লির উদ্দেশ্যে। দিল্লি থেকে প্লেনে করে সোজা কলকাতায়। সেখানে কিছুদিন কাটিয়ে এরপর জন্মভূমিতে দেশে ফেরা।
আর এই গরমে কলকাতা সফর কেমন ছিল, সেটা না হয় লেখা যাবে অন্য কোনদিন!
প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।
আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।
প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন-

Travel_logo_bg
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৫
এমএ
** আকাশছোঁয়া মানালি যাত্রা
** মেঘ পাহাড়ের সিমলা-মানালি