সরেজমিনে মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এখনও পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ স্টল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। অনেক স্টলের নির্মাণে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও তা জমতে প্রথম সপ্তাহ লেগে যায়। প্রথম দিন হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থী তেমন নেই। যারা আসছেন তারা শুধু ঘুরে ঘুরে দেখছেন, তেমন কিছু কিনতে দেখা যায়নি।
মেলায় এখনও চলছে স্টল নির্মাণ। ছবি: বাংলানিউজ
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রথম দিন হওয়ায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় কম। এছাড়া অনেক স্টল তাদের কাজ শেষ করতে পারেননি। মেলা জমতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে।এদিকে স্টলের মতো প্রস্তুতির কাজ চলছে কিছু প্যাভিলিয়নেও। কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হলেও প্যাভিলিয়নগুলোর আংশিক চালু হয়েছে। তবে মেলার প্রবেশপথের কাজ এখনো শেষ হয়নি। দড়ি ধরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে মেলাপ্রাঙ্গণে।
তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে প্রথমদিনেই চলে এসেছেন মেলায়। তাদেরই একজন রোকসানা আনোয়ার।
বাণিজ্যমেলার প্রধান ফটক। ছবি: বাংলানিউজ
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সবে মেলা শুরু হয়েছে। দোকান-পাটও সেভাবে খুলেনি, জমে ওঠেনি মেলা। তাই মাঠ ফাঁকা থাকায় কেনাকাটা করতে সুবিধা হচ্ছে। প্রতিবছরই আমি মেলার শুরুর দিকে আসি। এতে ভালো পণ্য দেখে ও বাছাই করে কেনা যায়।মেলায় ঘুরতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সামসুল আলম বলেন, বছরের প্রথমদিনই শুরু হয়েছে মেলা। এখন টাকা নেই হাতে। তাও দেখতে এলাম। বেতন পেলেই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসবো কেনাকাটা করতে।
দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকলে দুই-চারদিনের মধ্যে মেলা জমে ওঠবে। একই সঙ্গে গতবছরের তুলনায় এবার বিক্রিও বেশ ভালো হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় নেই মেলায়। ছবি: বাংলানিউজ
১৯৯৫ সালে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) এরই মধ্যে তার ২৪টি আসর সম্পন্ন করেছে। ২০২০ এ ২৫ বছরে পা দিয়েছে।বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে।
জানা যায়, এবারের মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন রাখা হয়েছে ৬৪টি। এছাড়া সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৩টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৯টি, প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন ৪২টি।
মেলা প্রাঙ্গণে রেস্তোরাঁ থাকবে দু’টি, স্ন্যাকস বুথ সাতটি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ছয়টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন আটটি, সাধারণ স্টল ১০৭টি, ফুড স্টল ৩৫টি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি এবং বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল রাখা হয়েছে ১৭টি।
মেলা প্রতিদিন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবার মেলার প্রবেশ ফি বেড়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১০ টাকা বাড়িয়ে টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ টাকা। আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের টিকিটের দাম ২০ টাকা-ই রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ