ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

পর্যটন

আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায়, দাবি বিমানের এমডির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায়, দাবি বিমানের এমডির বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এটিজেএফবির কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বিমানের এমডি মো. সাফিকুর রহমান।

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং এখন শূন্যের কোটায় বলে দাবি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, টিকিটিং নিয়ে কারসাজির অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য পেলেই তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সাম্প্রতিককালে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যের প্লেনের টিকিট ব্লকিং ও কৃত্রিম মজুদের বিষয়ে এমডি বলেন, বিমানে বর্তমানে আগাম সিট বুকিং বা টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোঠায়। বিষয়টি আমি নিজে মনিটরিং করি। এটা নিয়ে আগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তদের টিকিটিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। ব্যাগেজের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করি। তবে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হলে ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে।

তিনি বলেন, ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিমানকর্মীদের গায়ে বডি-ওর্ন ক্যামেরা থাকে। ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের ডিউটিতে প্রবেশে সময় তারা ক্যামেরা লাগায়। ডিউটি শেষে ফেরার সময় তারা ক্যামেরা ফেরত দেয়। নজরদারি বাড়াতে নতুন আরও ১৫০টি ক্যামেরা কেনা হয়েছে।

বিমানের হজ ফ্লাইটের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিমানের বহরে যতগুলো এয়ারক্রাফট রয়েছে তা নিয়ে নির্বিঘ্নে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা যাচ্ছে। তবে হজ মৌসুমে এয়ারক্রাফটের চাহিদা বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে ২/১টি রুটের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে সেই এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আমরা আশা করছি বরাবরের মতো এবারও হাজিরা নির্বিঘ্নে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ে পবিত্র হজ পালন করবেন।

বিমানের ফ্লাইট ডিলে শূন্যের কোটায় আনা, ক্রুসহ কর্মীদের আচারব্যবহার আরও নমনীয় করতে ও বিমানকে আরও যাত্রীবান্ধব করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বিমানের এমডি ও সিইও।

সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
এমআইএইচ/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।