ঢাকা: বিজয়ের মাসে স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল খেলতে নেমেছিল জাপান অনূর্দ্ধ-২১ দলের বিপক্ষে। কিন্তু প্রথমার্ধে ভালো খেলেও সাইফুল বারী টিটোর ছাত্ররা দ্বিতীয়ার্ধের তিনটি গোলে হেরে যায়।
প্রথমার্ধে ম্যাচের প্রথমে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। তবে, ম্যাচের ১৬তম মিনিটে জাপান বাংলাদেশের শিবিরে আক্রমণ চালালে তা অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। প্রথম প্রচেষ্টায় বল ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি বল ক্লিয়ার করেন। এর দুই মিনিট পরেই আবারো আক্রমণ চালায় জাপানের ১১ নম্বর জার্সি পরিহিত কুবো ইয়োয়া। তবে এবারো গোলরক্ষক লিটনের সফলতায় গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় জাপান।

undefined
এরপর নিজেদের মধ্যেই বলের দেওয়া-নেওয়া করতে থাকে জাপান। বাংলাদেশকে কিছুটা ডিফেন্সিভ খেলতে দেখা যায়।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে সফরকারীরা বাংলাদেশের ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে ফ্রি-কিকের সুযোগ পায়। তবে, হারাকাওয়া রিকির নেওয়া শটটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
খেলার ৩৯ মিনিটের মাথায় জাপানের কুবোর গোলবার লক্ষ্য করে নেওয়া জোড়ালো শটটি ঠেকিয়ে দিয়ে স্বাগতিকদের গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন ইয়ামিন মুন্না। এর দুই মিনিট পরে আবারো বাংলাদেশের ডি বক্সে আক্রমণ শানে জাপান। ইয়ামানাকা রায়োসুকের নেওয়া শট এবারে অসাধারণ একটি হেড করে ক্লিয়ার করেন শেখ জামালের হয়ে খেলা ইয়াসিন খান।

undefined
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে গোলশুন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৯ মিনিটের মাথায় জাপানের হয়ে প্রথম গোল করেন আসানো তাকুমা। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার তিন মিনিটের মাথায় গোলটি করেন তিনি।

undefined
এরপর ম্যাচের ৭২ ও ৭৫ মিনিটের মাথায় জাপান আরো দুটি গোল করলে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৭২ মিনিটের মাথায় জাপানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মিনামিনো তাকুমি। আর দ্বিতীয় গোলের অ্যাসিস্ট করেন প্রথম গোলদাতা আসানো তাকুমা। ৭৫ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় আর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আসানো তাকুমা।
ম্যাচের বাকি সময়ে গোল শোধ দিতে না পারলে ৩-০ গোলের ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪