ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

‘সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির এক শতাংশের মালিকও নন মাশরাফি’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
‘সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির এক শতাংশের মালিকও নন মাশরাফি’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সবাইকে চমকে দেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ওই আসরের ফাইনালেও খেলে তারা।

কিন্তু গত আসরে খুব একটা সাড়া জাগাতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আরেকটি বিপিএল আসরও সামনেই।  

এ অবস্থায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলা হয় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে।  

সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সাবেক মালিক গোলাম সরওয়ার চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে জোর করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা লিখে নিয়েছেন মাশরাফি। এছাড়াও তাকে হত্যার হুমকি ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সত্ত্ব কেনার টাকা বাকি রাখার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।  

এসব অভিযোগের জবাব নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। নিচে তাদের দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।  

সিলেট স্ট্রাইকার্স লিখেছে...

‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার কখনো ছিলেন না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।  

এবার আপনাদের একটি গল্প শোনাই। বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সাড়া জাগিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফি নেতৃত্বে আমরা রানার্স আপ হয়েছিলাম। মাঠের ভেতরে-বাইরে আমাদের পেশাদারিত্ব, সিলেট সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে সারা দেশের সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে পারা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের উপস্থাপনা, সবকিছুই ছিল দারুণ প্রশংসিত। তার পরও দ্বিতীয় মৌসুমে আমাদের দল গঠন প্রক্রিয়ায় কেন ধস নামে?

শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচলন খরচ ও আরও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অনেকেরই এটা জানা।  

শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।  

পরের মৌসুমের বিপিএলের আগে পুরোনো সেসব দেনা শোধ করতেই নতুন স্বত্বাধিকারীদের হিমশিম খেতে হয়। এটিও ফ্র্যাঞ্চাইজি সংশ্লিষ্ট সবারই জানা।  

সব মিলিয়ে পুরোনো দেনা শোধ করতেই আমাদের এতটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় যে, দ্বিতীয় মৌসুমে ভালো দল গড়ার মতো যথেষ্ট তহবিল আমাদের ছিল না। সীমিত বাজেটের মধ্যেই কোনোরকমে আমরা দল গড়ে টুর্নামেন্ট পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করি। খুব ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আমরা আনতে পারিনি। এজন্য সিলেটের ক্রিকেট অনুসারী থেকে শুরু করে সমর্থকদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি আমাদের হতে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল আমাদের জন্য কঠিন।

এখন সাম্প্রতিক পালাবদলের পর দেশ যখন নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে, তখন পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। তাই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ভক্ত-সমর্থক ও দেশের ক্রিকেট অনুসারীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরলাম। আইনি ব্যাপার আমরা আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব। ’

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা,অক্টোবর ১ , ২০২৪
এমএইচবি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।