ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি পূরণ হয়নি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৬
বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি পূরণ হয়নি

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী।

রোববার (০৫ জুন) ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে ডিএসইর প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজার সংস্কারে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাজারে মন্দাভাব লেগে আছে। বাজারের এ মন্দা থেকে উত্তোলনে প্রয়োজন টার্নওভার বাড়ানো। আর এজন্য চূড়ান্ত বাজেটে টার্নওভারের ওপর কর কমানোর পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা বাড়াতে স্টক এক্সচেঞ্জের ওপর কর অব্যাহতিসহ ৫ দফা প্রস্তাবনা বিবেচনার অনুরোধ জানান তিনি।

ডিএসইতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.) সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত এমডি আব্দুল মতিন পাটোয়ারীসহ ডিএসইর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসইর চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাজেটে সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারকে নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার পাশাপাশি সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের ফলে বাজারে তার ইতিবাক প্রভাব পড়েছে।

তাই পুঁজিবাজারের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা বাড়াতে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছর কর অব্যহতি দেওয়া, স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে উৎসে কর সংগ্রহের হার কামনো, করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার এবং আয় বর্ষের (হিসাব বছর) সংজ্ঞা পরিবর্তন করা।

সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে ২০১০ সালের মহাধসে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি একই সময় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফের ওপর কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসা বাড়াতে পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋণ ও সুদ (১০ লাখ টাকা পর্যন্ত) মওকুফজনিত সুবিধার করযোগ্যতা থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অব্যহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন নিয়ম মাফিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতা এসেছে। একই সঙ্গে ফটকাবাজির (কারসাজিমূলক লেনদেন) অবসান এবং নির্মূল হয়েছে। এ কারণে বাজার এবার জেগে উঠবে। পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা, সিকিউরিটিজ আইন প্রতিপালন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নানা সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।