ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

লক্ষাধিক মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
লক্ষাধিক মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রসাটমের মালিকানাধীন। ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি লক্ষাধিক জনসংখ্যার একটি নগরীর বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম।

একাডেমিক লামানোসভ নামের এই ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের নগরী চুকোতকার এনার্জি হাবে প্রায় ৯৮ কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। যদিও, এই কেন্দ্রটি থেকে বছরে প্রায় ৪৩ কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

২০২০ সালে চালু হবার পর এক বছরে একাডেমিক লামানোসভ ১২.৭ কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বর্ধিত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫ কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

চুকোতকা অঞ্চলে মূলত বৃহদাকার খনি প্রকল্পগুলো এই ভাসমান কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকে।

গত পাঁচ বছরে আর্কটিক এবং রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে এ জাতীয় প্রকল্প পরিচালনায় রসাটম ব্যাপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। এর ফলে রসাটম ছোট আকারের আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর (এসএমআর) প্রযুক্তি ভিত্তিক এমনই আরও একটি ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে চুকোতকা অঞ্চলে। তবে, এটিতে থাকবে চারটি রিয়্যাক্টর, যেখানে একাডেমিক লামানোসভের রিয়্যাক্টর সংখ্যা দু’টি। রাশিয়ার ইয়াকুতিয়ায় এসএমআর নির্ভর একটি স্থলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও নির্মিত হবে।

রসাটমের বৈদ্যুতিক এনার্জি শাখার একটি অঙ্গসংগঠন হচ্ছে রসএনার্গোএটম, যারা একাডেমিক লামানোসভ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।