ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সালথায় ঘন ঘন লোডশেডিং, জনজীবন অতিষ্ঠ

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
সালথায় ঘন ঘন লোডশেডিং, জনজীবন অতিষ্ঠ প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, তার কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

এদিকে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎহীন সালথাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এছাড়া চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছেন না। আউশ ও রোপা আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষক।  

সালথার নটখোলা গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান সজীব বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব নেই! তার ওপর শুধু রাতেই ৩-৪ বার লোডশেডিং হচ্ছে। কোনো কোনোদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে গরমে আমার পরিবারের কেউই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। সাজিদুর রহমান রাইয়ান নামে আমার আড়াই বছরের ছোট বাচ্চাকে নিয়েও বিপাকে আছি। কেননা, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ঘেমে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। একই সমস্যায় গ্রামের প্রায় সব পরিবার। ঘন ঘন এমন লোডশেডিংয়ে গ্রামের মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যেমন-তেমন কিন্তু, রাতে লোডশেডিং বন্ধ রাখা গেলে মানুষজন শান্তিতে অন্তত ঘুমাতে পারবে।

উপজেলার বিভাগদী গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৭-৮ দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, এমন লোডশেডিং আগে কখনও দেখিনি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছেন।  

তবে সালথা উপজেলা সদরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সালথা উপজেলা সদরে একটু লোডশেডিং কম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, আগের তুলনায় লোডশেডিং কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।  

এ ব্যাপারে সালথা সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, সালথায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ০৭ মেগাওয়াট, আবার কখনোবা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ০৫-০৬ মেগাওয়াট। তাইতো প্রতিনিয়ত ০৩-০৪ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকায় কিছুটা লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা সত্ত্বেও মফস্বলের গ্রাম-গঞ্জে একটু লোডশেডিং বেশি হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সকাল-বিকেলের তুলনায় সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে, তাই সেসময় তুলনামূলক একটু লোডশেডিং বেশি দিতে হচ্ছে। তবে সমাধানে যথাসম্ভব চেষ্টা করছি।  

এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় একটু লোডশেডিং হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।