ঢাকা: দুই-একটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ না নেয় রাষ্ট্রপতিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ইসি গঠনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা একক ক্ষমতা বলে ইসি গঠন করেছিল। কারো সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে ইসি গঠনে সংলাপের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি। এ সংলাপে দুই- একটি দল অংশগ্রহণ না করলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে রাষ্ট্রপতিকে ইসি গঠন করতে হবে। এতে সংকট সৃষ্টি হবে না। হয়তো সবাই অংশগ্রহণ করলে সেটা সার্বজনীন হতো। ইসি গঠন হবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, যে আইন বিগত ৪০ বছরে হয়নি। সে আইন হঠাৎ করে এক মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ একুশ বছর ক্ষমতায় ছিল না। আর স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর অন্যরা ক্ষমতায় ছিল। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে সেটি করেনি কেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে হানিফ বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন সজ্জন মানুষ ছিলেন। তার আচরণ ও কথাবার্তা ছিল পরিশীলিত। তার রাজনীতি ছিল অনুকরণীয়। জাতীয় অনেক ক্রান্তিকালে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেনের পর দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেসময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
এসকে/আরআইএস