ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ডেটলাইন ৫ জানুয়ারি

খুলনায় গোয়েন্দা নজরদারিতে সন্দেহভাজনরা

মাহবুবুর রহমান মুন্না, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
খুলনায় গোয়েন্দা নজরদারিতে সন্দেহভাজনরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কায় সন্দেহভাজনদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তৎপর রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরকারবিরোধী জোটের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে মাঠে রাখা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিমকে।

এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বলছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বাংলানিউজকে বলেন,  ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ‘একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনে’ ক্ষমতায় আসা সরকার দেশে ‘এক ব্যক্তির শাসনের’ নামে প্রকারান্তরে ‘রাজতন্ত্র’ কায়েম করেছে। এ অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।  

আর সে লক্ষ্যে ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টায় সমাবেশ করা হবে।

তিনি জানান, সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত কোনো অনুমতি দেয়নি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। তবে এজন্য কর্মসূচি থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের এ কর্মসূচি পালিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারিতে বিএনপি-জামায়াত যাতে নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য তারা মাঠে থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বোমাবাজি, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতামুলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। বিগত দিনে জেলা ও মহানগরে নাশকতা সৃষ্টিকারী এমন দেড় শতাধিক সন্ত্রাসীর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে, অবস্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে। গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে দলীয় পরিচয়ধারী সন্ত্রাসীদের প্রতিও।

জেলা পুলিশ (গোয়েন্দা) ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, চরমপন্থী বোমাবাজ সন্ত্রাসীদের অনেকে জেলে রয়েছেন। তাদের কেউ কেউ আবার জামিনেও আছেন। পলাতক রয়েছেন অনেকে। কোনো আশঙ্কা না থাকলেও তাদের ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীরা সম্পৃক্ত হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাতে যেন না পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের  (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মনিরুজ্জামান মিঠু  ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে যেকোনো নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।