হবিগঞ্জ: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরে দীর্ঘ ৪৩ মিনিট শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২৩ মিনিটে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে বাদীপক্ষে সরকারী কৌসুলী (পিপি) এম আকবর হোসেন জিতু, নিলাদ্রী শেখর পুর কায়স্ত টিটো, লুৎফুর রহমান, আতাউর রহমান, মর্তুজ আলী, মুশফিউল আলম আজাদ, সুলতান মাহমুদ, শাহ ফখরুজ্জামান এবং বিবাদী পক্ষে আশরাফুল বারী নোমান, খালেকুজ্জামান চৌধুরী, আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ, মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, মিজানুর রহমান, কামাল উদ্দিন আহমেদ সেলিম, এনামুল হক সেলিমসহ উভয়পক্ষে শতাধিক আইনজীবী মামলা পরিচালনায় অংশ নেন।
ইতোপূর্বে ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুননেছা পারুল হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চতুর্থ দফার সম্পুরক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

undefined
ওই প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
ওই দিন আদালত হারিছ চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী এবং জি কে গউছসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জের পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
দীর্ঘ ৫৫ মিনিট শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামি জি কে গউছের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভা শেষে শহরে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪/আপটেড: ১৪০৪ ঘণ্টা
** সিলেটের মেয়র আরিফুলের আত্মসমর্পণ