ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাগুরা জেলা ছাত্রদল নেতা রাব্বি হত্যা: ১৩ জনের নামে মামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
মাগুরা জেলা ছাত্রদল নেতা রাব্বি হত্যা: ১৩ জনের নামে মামলা 

মাগুরা: মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দিনগত রাতে মামলাটি মাগুরা সদর থানায় দায়ের করেন নিহতের ভাই ইউনিস আলী।



ছাত্রদল নেতা রাব্বি নিয়ত হওয়ার ঘটনায় আসামি হিসেবে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১৫০ জনকে।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার পর ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলাটি রুজু হয়েছে।  

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে বলে যুক্ত বলে জানা গেছে।

জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী নবগঙ্গা নদী ব্রিজের ওপর অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এর কিছু দূরে মহাসড়কের নবগঙ্গা ব্রিজের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে এ আন্দোলনে যোগ দেন।  

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ শুরু হয়। দিনব্যাপী চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা। দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হন। জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে মেহেদী হাসান রাব্বিকে দাফন করা হয়।  

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক মহসিন উদ্দিন জানান, ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আহত অবস্থায় ২৫ জনের মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী হাসান রাব্বী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন মারা যান। তাদের মধ্যে মেহেদীর বুকে এবং ফরহাদ হোসেনের মাথায় গুলির আঘাত দেখা গেছে। দুজনই একই এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

মামলার বাদী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওইদিন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা পারনান্দুয়ালী থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড হয়ে শহরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। ঢাকা রোড স্লুইস গেট এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়।  

মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই ইউনুস আলী বুধবার (১৪ আগস্ট) বলেন, ‘আমার ভাইয়ের অনাগত সন্তান তার বাবার স্পর্শ কখনোই পাবে না। আমরা ন্যায় বিচার চাই। যাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি, তাদের নামেই মামলা করেছি। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে কাউকে আসামি করা হয়নি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।