ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়।  

তিনি বলেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটাধিকার ও সুষ্ঠু রাজনীতি চায় দেশের মানুষ। আমরা সংসদে, বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে গণমানুষের ভোটাধিকারের দাবিতে সোচ্চার আছি। বিদেশিরাও ভোটাধিকারের প্রশ্নে জোরালো ভূমিকা রাখছে। এ কারণেই সব বিষয়ে একটি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।  

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাবেক যুগ্ম কর কমিশনার জহিরুল ইসলাম জহির জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।   

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের জন্য ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। ক্লিন এনার্জির কারণে এক সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কদর ছিল। এখন অনেকেই আর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে না। আবার যাদের তৈরি করা আছে, তারাও বন্ধ করে দিচ্ছে।  

তিনি বলেন, স্বল্প খরচ ও পরিবেশের ক্ষতি হবে না, এমন ভাবনা থেকেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এটা থেকে যে বিকিরণ হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি বিপজ্জনক প্রযুক্তি।

তিনি বলেন, পারমাণবিক দুর্ঘটনা হলে আমাদের মতো জনবহুল দেশে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এমন প্রকল্প অনেক বেশি ব্যয়ে আমরা স্থাপন করেছি। আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ রেখে যাচ্ছি। রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়ার ও ভারতীয় কনসাল্টেন্টরা এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। বাংলাদেশের কোনো ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে। আর আমাদের সরকার ভারতের চেয়ে কয়েকগুন বেশি খরচে এমন ভয়াবহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।   

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার পার্টির অভ্যন্তরে গ্রুপিং সৃষ্টি করে আমাদের দুর্বল করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জাতীয় পার্টির একক নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে সরকার। আমাদের মাতৃতুল্য বেগম রওশন এরশাদকে জিম্মি করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। জাতীয় পার্টি কখনো আপসের রাজনীতি করবে না। যারা দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করবে তাদের স্থান আর জাতীয় পার্টিতে হবে না। পার্টির স্বার্থে দ্বিধার কোনো অবকাশ নেই। জাতীয় পার্টির ভেতরে অনাস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে সরকারের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। অস্তিত্ব আর অধিকার রক্ষার স্বার্থে আমরা আর কারো সঙ্গে আপস করব না।  

উপজেলা প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক ফখরুল ইমাম, ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ জেলা সদস্য সচিব সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ মহানগর আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আহমেদ, সদস্য সচিব আবু মুসা সরকার, ময়মনসিংহ জেলা দপ্তর সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান আরজু, হালুয়াঘাট উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম পাপ্পু, শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।