ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ওলামারা একত্র হলে বাতিলরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না: চরমোনাই পীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
ওলামারা একত্র হলে বাতিলরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না: চরমোনাই পীর

ঢাকা: ওলামারা একত্র হলে বাতিলরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, আজকে আপনারা যখন রাজধানী ঢাকায় এতজন ওলামা একত্র হয়েছেন, বাতিলদের ভয়ে কলিজা থরথর করে কাঁপছে।

ওদের কলিজার ভেতরে ভয়ের আগুন ধরিয়ে দিতে হবে। বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে হবে। যদি আমরা ওলামারা একত্র হতে পারি, তাহলে বাতিল যতই শক্তিশালী হোক দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।

সম্মেলনে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ৯২ জনের মতো মুসলিম বসবাস করে। এ দেশে বিগত দিনে ডাকাত পর্যন্ত ওলামাদের সম্মান করতেন। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে এখন ওলামাদের জেলে ঢুকাতে, আক্রমণ করতে, কুটূক্তি করতে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত দ্বিধা করে না। এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে।

ওলামাদের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তামাম দুনিয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখবো, স্পেনে যেখানে সাড়ে ৭০০ বছর পর্যন্ত মুসলিমরা রাজত্ব করেছিল, সেখানে এখন মুসলিম তালাশ করে বের করা কঠিন। আমরা দেখি জুমার দিন মসজিদে মুসল্লির অভাব নেই। কিন্তু ওরা গোপনে গাছের নিচে থেকে শেকড় কাটছে। এক পর্যায়ে যখন কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে, গাছটি আস্তে ফেলে দিবে। এজন্য হক্কানী ওলামাদের একত্র হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইসলামের পক্ষে, দেশের পক্ষে, মানবতার কল্যাণের জন্য পরামর্শভিত্তিক উদ্যোগ যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে বিজয় আমরা অর্জন করতে পারবো। ভয় নেই, চিন্তা নেই, যদি আমরা মোমিনের চরিত্র অর্জন করতে পারি।

সম্মেলনে জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মাওলানা রেজাউল করীমের নাম ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সম্মেলনে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিসহ ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেসব দাবি আদায়ে তিন মাসব্যাপী তিন দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচিগুলো হলো-

১. ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে ওলামা মশায়েখ সম্মেলন ও সিরাতুন্নবী মাহফিল।

২. ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত থানা উপজেলায় ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ওলামা সম্মেলন।

৩. ডিসেম্বরে মাসব্যাপী সারাদেশে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল ও গণ-কোররআন শিক্ষা কর্মসূচি।

জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শায়খ জাকারিয়া রহ. ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, পরিষদের উপদেষ্টা হাফিজ মাওলানা ইউনূস আওয়াল, সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন, বনশ্রী দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলেম মুফতী ইয়াহইয়া মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ