ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে সমর্থন চেয়েছিল সেটি ব্যর্থ হয়েছে: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে সমর্থন চেয়েছিল সেটি ব্যর্থ হয়েছে: কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল সেটি ব্যর্থ হয়েছে।

শুক্রবার(১৪ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগে সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, তারা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।

বিদেশি বন্ধুরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে এমন ধারণা আশঙ্কা তৈরির চেষ্টা করেছিল যে এবার বুঝি সরকারের রেহাই নেই। নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভিসানীতি সরকারকে বিপদে ফেলবে। সরকারকে হয়ত ফাইনালি বলে দিবে এভাবে ইলেকশন করতে, তত্ত্বাবধায়ক হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে- এ রকম চেয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত কি হলো?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কাউকে ধমক, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ হবে এমন কোনো উক্তি তারা করেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা তারা বলেননি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা রক্ষা করব। কারো কোনো প্রকার উসকানিতে, খারাপ ব্যবহারে সে পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে-এ দুর্নামটা নিতে চাই না।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র পরিহার করে বিএনপিকে নির্বাচন করুন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা যে মনোভাব প্রদর্শন করছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার যে অপচেষ্টা আছে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির দফা কয়টা? দল কয়টা? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এখন ৩২ দফা, আগে ছিল ২৭ দফা। এ আন্দোলন, এক দফার জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি গতবারও দেখেছি, এবারও সেদিকেই যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড় করছে গণঅভ্যুত্থান। এখনতো এটিই হলো বাস্তবতা। গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা। কতটা অবনতি হলে তারা এটি করে। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ, নেতাদের দোষারোপ করছে। সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে পদযাত্রায় গেল। এর কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বিএনপি। এখন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় যে সমাবেশ হবে তার শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
এসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।