ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর জনগণ মেনে নেবে না: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর জনগণ মেনে নেবে না: কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের: ফাইল ফটো

ঢাকা: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৷

বুধবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ-অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন।

বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক কোনো অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অথবা অর্পণ এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের মানুষের উপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন ও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের স্টিমরোলার। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সব খাত। নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের বুটের তলায় পিষ্ট হয় এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখান থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারই হয়ে ওঠে জনগণের সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটতে শুরু করে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব দুনীতি ও অর্থপাচার নিয়ে কথা বলেছেন! এটা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। তাদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য কায়েম করে লুটপাট ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। অর্থপাচার মামলায় দণ্ডিত হয়ে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র কোকোর পাচারকৃত অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এনেছে সরকার। দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিএনপির মজ্জাগত রোগ। জনগণের টাকা বিদেশে পাচারের যে অপসংস্কৃতি বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল তা নির্মূল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার ।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশ একের পর এক মাইলফলক অর্জন করেছে। বৈশ্বি সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারার কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্ব সভায় প্রশংসিত হচ্ছে।  

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, করোনার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার  মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে একটি মডেল বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এ অগ্রগতিই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ।  

তাদের সময় বাংলাদেশকে চরম ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে হয়েছিল, বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বিএনপির চোখে অনন্য উচ্চতার এ ছবি ধরা পড়ে না। কারণ তাদের দৃষ্টি অত দূর পর্যন্ত পৌঁছায় না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
এসকে/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।