ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

মুক্তমত

বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ১৫ কার্টুন

শাহাদাৎ তৈয়ব/কার্টুন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪১, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ১৫ কার্টুন

একটি কার্টুন একটি গল্প, একটি কণ্ঠস্বর একটি প্রতিবাদ, একটি দ্রোহ আর ক্ষোভের অদম্য হাতিয়ারও হয়ে উঠতে পারে। ইরানের বিখ্যাত কার্টুনিস্ট মানা নেয়েস্তানি তারই প্রমাণ দিলেন।



নেয়েস্তানি মনে করেন পারমাণবিক বোমা তৈরি করার ব্যাপারটি ইরানের একটি অবসেশন বা মানসিক সমস্যা। ১৯৭৩ সালের দিকে জন্ম নেয়া এই কার্টুনিস্ট পড়াশোনা করেছেন আর্কিটেকচারে। পরবর্তীতে তিনি কার্টুন আঁকাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত তিনি বহুবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন।

undefined



বর্তমানে ফ্রান্সে বসবাস করছেন নেয়েস্তানি। ইরানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইস্যুতে বেশ সরব এই কার্টুনিস্ট। যে কারণে তিনি তার দেশে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত।  

ইরানের অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ, নারীবাদ, জন্মনিয়ন্ত্রণ, সমকামিতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পারমাণবিক ইস্যু, সেন্সরশিপ, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যাচার, চিকিৎসা সেবার নামে অপসেবা, উন্নত ও অনুন্নত রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ইত্যাদি ইস্যুতে কার্টুন এঁকে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলেন কার্টুনিস্ট নেয়েস্তানি। তার কার্টুন যেমন প্রতিবাদের হাতিয়ার হয়ে এসেছে তেমনি তার কার্টুন তীব্র বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ইরানের মতো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে সমকামিতার অধিকারসহ ইত্যাদি ইস্যুতে কার্টুন প্রচার করে তুমুল হইচই ফেলে দেন এই কার্টুনিস্ট।

২০০৬ সালের দিকে তার বিতর্কিত একটি কার্টুনকে কেন্দ্র করে ইরানের আজারবাইজানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।

নেয়েস্তানির যে কটি কার্টুন বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছিলো তার কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো।  

undefined


 সিরিয়া ইস্যুতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তীক্ষ্ণ অজ্ঞতা ও গভীর অবজ্ঞা।

undefined


ইরানের অভ্যন্তরে সমকামীদের উপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ।

undefined

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জন্মনিয়ন্ত্রণ উদ্যোগে ইরানের রাষ্ট্রীয় বাধা।

undefined


উন্নয়নশীল বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে এই কার্টুনে। কার্টুনটিতে দেখা যায়, প্রসবের আগমুহূর্তে উন্নয়নশীল বিশ্বের গর্ভবতী মায়ের পেটের শিশুকে একটি রঙিন দুনিয়ার ছবি দেখিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে এক লোক। অথচ ছবিটির পেছনে রয়েছে এক কঠিন, নির্মম, যান্ত্রিক আর রক্তস্নাত ভূখণ্ডের নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিত্র। আর তাই এ ছবির

শিরোনাম: এসে হে নবীণ, দেখো পৃথিবী কতো সুন্দর!

undefined


একদিকে মতের স্বাধীনতা রহিত, আর দিকে সেই পরাধীন শিকল পরা মানুষদের উপর অদ্ভুত আক্রমণ।

undefined


সেন্সরশিপ

undefined


গণমাধ্যমের বিকৃতি

undefined


জনগণ থেকে রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন আদায়ের নমুনা।

undefined


চরমপন্থা

undefined


 আধুনিক সভ্যতায় চিকিৎসা সেবার হাল

undefined


ইরানের মনের মধ্যে শুধুই পরমাণু। ধ্যান-জ্ঞান এবাদত, নামাজে প্রার্থনায় সবখানে শুধু পরমাণু বোমা। এ যেন দেশটির নিউক্লিয়ার অবসেশন।

undefined


রাজনৈতিক নেতার আসল রূপ। আহা তার একহাতে গোলাপ, আরেক হাতে শান্তির পায়রা!

undefined


সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘের ভূমিকা।

undefined


উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ব্যবধান।

undefined


ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশটির উপর আন্তর্জাতিক অবরোধের পরিণতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।