ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

‘এই হাড়কাঁপা জাড়ের হাত থ্যাকি বাঁচালো বসুন্ধরা কম্বলডা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ৬:১৩ পিএম, জানুয়ারি ২, ২০২২
‘এই হাড়কাঁপা জাড়ের হাত থ্যাকি বাঁচালো বসুন্ধরা কম্বলডা’ ...

রাজশাহী: ‘পদ্মা নদীর ধারে ছাপরা টিনের বাড়ি। হাড়কাঁপা জাড়ে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতেছিনু ন্যা।

এখন মা-বিটি আরামে ঘুমাতে পাইরবো। বসুন্ধরার কম্বলডা জাড়ের হাদ থ্যাকি বাঁচালো। এতোদিন আমাদের দিকে কেউ তাকাইনি। আজ একটা কম্বল পায়েছি, এখন আর শীতে কষ্ট হবে না। ’

রোবার (০২ জানুয়ারি) সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণকালে কম্বল পেয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা সেফালি বেওয়া। তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর নদীর পাড় এলাকায়। শুধু সেফালি বেওয়াই নয়,  বসুন্ধরার কম্বল পেয়েছেন এরকম অসহায় ৫০০ শীতার্ত মানুষ। যাঁদের সকলেই উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে গত দুদিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে শীতে নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছিলেন নদী পাড়ের এই ছিন্নমূল মানুষগুলো।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পিরিজপুর এলাকার পদ্মা পাড়েই দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয় শীতার্ত মানুষের মধ্যে। শীতের শুরু থেকেই এই কার্যক্রম চলছে।

অসহায় এই মানুষগুলোর মধ্যে ষাটোর্ধ হজরত আলী বলেন, ‘ভাঙা কপালে এই সর্বনাশা পদ্মায় হারিয়েছি বাড়ি-ঘর। কোনোমতে একটা খেড়ের ঘরে কাটে জীবন। শীতে ঘরের মধ্যেও ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকে পড়ে। খুব কষ্ট হয় তখন। কিন্তু এতোদিন আমার মতো এই গরীব মানুষের কেউ খোঁজ নেয়নি। আজ বসুন্ধরার একটা কম্বল পাইয়েছি। এখন রাতে শীতের মধ্যেও ভালোভাবে ঘুমাতে পারবো’।

প্রায় নব্বই বছরের বয়স্ক রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলছিলেন, ‘যা জাড় পড়িছে, তার কারণে অনেক কষ্টে আছুন। ঘরে পঙ্গু স্বামী। সেও জাড়ে কাঁপে। এখন এই কম্বলডা আমাদের বাঁচাবে’।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুরে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিয়ার রহমান, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, সমাজসেবক শফিউল ইসলাম মুক্তা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
এসএস/কেএআর

বাংলাদেশ সময়: ৬:১৩ পিএম, জানুয়ারি ২, ২০২২ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।