ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাংলাদেশ বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২১
‘বাংলাদেশ বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে’

বাংলাদেশ বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, আমরা এই অগ্রগতিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মাইলফলক ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের এই অর্জনকে ভারত পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আরো ঐতিহাসিক করতে চায়। এই লক্ষ্যে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের  যৌথভাবে কাজ করার করার আহ্বান জানান দোরাইস্বামী।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ইন্ডিয়ান ইমপোর্টার্স চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ভারতীয় হাইকমিশনারের জন্য দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। এই আয়োজনে সহযোগিতা করে আবাসন কোম্পানি রূপায়ন গ্রুপের রূপায়ন সিটি। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনারকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা ও সংবর্ধনা জানান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান এল এ মুকুল ও ভাইস চেয়ারম্যান মাহীর আলী খান রাতুল।  

প্রায় ১২ মিনিটের বক্তব্যে বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন। বাংলাদেশের বেগবান অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিতে ভারত যৌথভাবে কাজ করবে এবং সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে দুই দেশ যৌথভাবে পালনে অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে।  

তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। স্বাধীনতার ৫০ বছরে কৃষি, খাদ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, কানেক্টিভিটিতে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেন দোরাইস্বামী। এই দুই সেক্টরে একইসঙ্গে কাজ করছে দুই দেশের সরকার।  তিনি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া আইটি, হাইটেক টেকনোলজি, সেবা, উৎপাদন ইত্যাদি খাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন কথা বলেন।  

আইআইসিসিআিই চেয়ারম্যান অতুল কুমার সাক্সেনার সভাপতিত্বে ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশে বন্দর অবকাঠামো, যোগাযোগ ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের যৌথ পরিকল্পনায় দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য ভারতীয় হাই কমিশনের দ্বার সব সময়ই খোলা থাকবে।  

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’  বলে বক্তব্যের সমাপনী টানেন দোরাইস্বামী।  

তার বক্তব্যের পর মাহির আলী খান রাতুল বলেন, দুই দেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বপর্ণূ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা বলেন রূপায়ন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। চলমান করোনার মহামারির টিকায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্যও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতের প্রতি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারে ভারতী হাই কমিশনারের আহ্বানের প্রতি এই তরুণ ও মেধাবী ব্যবসায়ী সমর্থন জানান।

আইআইসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও ইম্পেরিয়াল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম রেজা ভারতীয় হাই কমিশনারের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য।  

তিনি বলেন, দোরাইস্বামীর সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। উনি বাংলাদেশ থেকে কিছু নিতে আসেননি, দিতে এসেছেন।  

অতুল কুমার সাক্সেনা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্পর্কের নতুন মাত্রা যুক্ত হবে কাজের মাধ্যমে। আইআইসিআইয়ের পরিচালক টি কে পান্ডে এই আয়োজনের জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও রূপায়ন সিটিকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।