ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলে প্রথম ধাপে ৫৬৪টি গৃহহীন পরিবার ঘর পাবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২১
টাঙ্গাইলে প্রথম ধাপে ৫৬৪টি গৃহহীন পরিবার ঘর পাবে টাঙ্গাইলে প্রথম ধাপে ৫৬৪ টি গৃহহীন পরিবার ঘর পাবে

টাঙ্গাইল: মুজিববর্ষে টাঙ্গাইলে ঘর পাবে ১২৬৪টি গৃহহীন পরিবার। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১২টি উপজেলায় যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নেই, তাদেরকে এসব ঘর দেওয়া হবে।

 
আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রথম ধাপে ৫৬৪টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী, মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি।  
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, সহকারী কমিশনার মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহীম প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, যাদের ভূমি ও ঘর নেই, তাদের জমিসহ ঘর দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় সরকারিভাবে এক হাজার ১৭৪ টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। এছাড়াও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ, সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ধর্ণাঢ্য মানবিক ব্যক্তি ও সরকারি চাকুরীজীবীরা মিলে আরও ১০০ ঘর দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গাড়া বাড়ি এলাকার জহির উদ্দিন বলেন, ‘গাবাসারা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাড়িসহ আমাদের ৪৫ শতাংশ জমি ছিলো। প্রায় ২৫ বছর আগে যমুনার ভাঙনে সব জমি চলে যায়। তার পরে তারাই গ্রামে অন্যের জমিতে বাড়ি করে বসবাস শুরু করি। গত ২০১৮ সালে যমুনার ভাঙ্গনে সে বাড়িও চলে যায়। তারপর থেকে অন্যের বাড়িতে বসবাস শুরু করি। সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। ’

কহিনুর বেগম বলেন, ‘যমুনার বাড়ি ঘর বিলীন হওয়ার পর গত চার বছর অন্যের বাড়িতে উঠেছিলাম। নিজে শ্রমিকের কাজ করে কোনও রকম সংসার চালাইছি। বাড়ি ঘর দেওয়ার মতো কোনও টাকা পয়সা ছিলো না। তাই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সরকারি ঘর পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। ’
মধুপুর উপজেলার শরবানু বেগম বলেন, ‘৩০ বছর আগে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে যায়। বাবার সম্পত্তিও ভাইয়েরা গোপনে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। প্রায় দুই বছর আমি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলাম। নিজের কোনও বাড়ি ঘর না থাকায় আমি অন্যের বাড়িতে জীবনযাপন করেছি। সরকারি ঘর পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। ’

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বাংলানিউজকে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সততা, আন্তরিকতার সঙ্গে ঘরের কাজ তদারকি করা হচ্ছে। মানবিক এই কর্মসূচি টাঙ্গাইল জেলায় সফল করা হবে। জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে যখন রঙিন টিনের ঘর উঠবে, তখন বাগানের ফুলের মতো ঝকঝক করবে ও জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠবে। ’

আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রথম ধাপে ১২টি উপজেলায় ৫৬৪টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।