ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সম্মিলিতভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করবো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
সম্মিলিতভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করবো অনুষ্ঠানে অতিথিরা

ঢাকা: সম্মিলিতভাবে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করবো বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।  

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের গাঙচিল মিলনায়তনে ‘ঘরে ঘরে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অগ্নি নিরাপত্তা’ বিষয়ক আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুনীর চৌধুরী বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন উঠানোর জন্য সরকার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা সরে যায়নি। তারা এখনও ওখানে ব্যবসা করছেন। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। অপরাধ প্রবণতা ও আইন অমান্যতা বন্ধ করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সুশাসনের আওতায় আনতে হবে। আমেরিকায় বুশফায়ার ঘটনায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ২০২০ সালে এ ঘটনা ঘটে। আগুন এখনও নেভানো যায়নি। এ ঘটনা আমেরিকার একটি ইতিহাস হয়ে আছে।

মা ও সন্তানদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা নিরাপদ থাকবো এটা আমার সবার কাছে প্রত্যাশা। হঠাৎ চুলা জ্বালানো যাবে না। চুলা যখন বন্ধ করব তখন খেয়াল রাখতে হবে চুলা সঠিকভাবে বন্ধ হয়েছে কিনা। এসব পারিবারিক বিষয় মাদের ভূমিকা অনেক বড়। অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেতে আপনারা (মারা) আপনাদের সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেবেন। একজন মা অনেক বড় ট্রেনার ও শিক্ষক। আপনাদের থেকেই শুরু হোক। আমরা অগ্রসর হবো। সম্মিলিতভাবে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করবো।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পিও কাম অ্যাডজুটেন্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টেনিং কমপ্লেক্স (ঢাকা) মো. মামুনুর রশিদ।  

তিনি বলেন, আপনাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বসবাসরত বাসার গ্যাস লাইনের রাইজার কোথায় অবস্থিত দেখে রাখা প্রয়োজন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কীভাবে আপনার বাড়ি থেকে বের হবেন, সে পরিকল্পনা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আগে থেকে করে রাখা প্রয়োজন। দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে কীভাবে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করবেন, সে পরিকল্পনাও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করে রাখা উচিত।

অগ্নিকাণ্ড ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোলরুমে জানানোর কথা উল্লেখ করে মামুনুর রশিদ বলেন, অগ্নিকাণ্ড ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে জানাবেন। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুমের নম্বরটি আপনারা সবাই মেমোরাইজ করে রাখবেন। আপনারা কখনই ভাববেন না অগ্নিকাণ্ড বেশি বড় নয়। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করে জানাবেন, যদি থেমে যায় পুনরায় ফোন করে জানাবেন। তখন না হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি মাঝপথ থেকে ফিরে যাবে।

এ সময় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক ইমতিয়াজ হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক ড. মনন মাহবুব, উপ-প্রধান বয়লার পরিদর্শক কার্যালয় পরিদর্শক প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হক, প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।