ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব পিঠা উৎসবে রয়েছে মোট মোট ২১টি স্টল। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: চারদিকে শীতের পিঠার মৌ মৌ গন্ধ। এমন মিষ্টি-মধুর পরিবেশে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের হাজার হাজার ছাত্রী-শিক্ষক যোগ দিয়েছেন পিঠা খাওয়ার উৎসবে।

যান্ত্রিক নগর জীবনে পিঠাপুলির স্বাদ নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার (১১ জানুয়ারি) কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।

পিঠা উৎসব ঘিরে ক্যাম্পাসে ছিল নানা আয়োজন।                                          ছবি: বাংলানিউজ

পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম জাকির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সমীর রঞ্জন সরকার, উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী প্রফেসার মো. শাহজালাল, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চায়নীজসহ অন্য শিক্ষকরা।

উৎসবে পিঠার স্টলগুলো পরিদর্শন করেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান পরিবেশন করেছেন খুলনার আঞ্চলিক গানের সম্রাট গুরুপদ গুপ্তসহ কলেজের ছাত্রীরা। এদিন কেউ পিঠা খাওয়ায়, কেউ দেখায়, আবার কেউ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তোলায়।  

সরেজমিনে দেখা যায়, হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে স্টল দিয়ে বসেছেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উৎসবের শুরু থেকেই ভিড় করেছেন তরুণীরা। কত বাহারি নামের পিঠাপুলি যে সাজানো! বাড়িতে এত সব পিঠা একসঙ্গে তৈরি করা সম্ভব হয় না, কিংবা ব্যস্ততার কারণেও হয়ে ওঠে না। এ কারণে উৎসব থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককেই।

উৎসবে এসে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন অনেকে।  ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিকাশ রায় বাংলানিউজকে বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস, যার একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ পিঠাপুলি। শীতের দিনে দেশের নানা অঞ্চলে পিঠা তৈরি করা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের কারণে এখন অনেকেই তা আর করতে পারেন না। একারণে পিঠা উৎসবে এসে তারা পিঠার স্বাদও নিতে পারছেন, আবার বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচিতও হতে পারছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির বাংলানিউজকে বলেন, কালের বিবর্তনে পিঠার ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে। একসময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেতো। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরজীবীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো অথবা গ্রাম থেকে শহরে বসবাসকারী প্রিয়জনদের জন্য পিঠা তৈরি করে পাঠাতো স্বজনেরা। গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলিকে শহরবাসীর কাছে পরিচিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি ও মায়েদের একটিসহ বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীদের মোট ২১টি স্টল রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এমআরএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।