ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াশার চাদরে মোড়া সিলেট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
কুয়াশার চাদরে মোড়া সিলেট

সিলেট: ঘড়ির কাটায় রাত ১১টা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা দম্পতি যাচ্ছেন নগরের বন্দর থেকে টুকেরবাজারে। সঙ্গে আনুমানিক পাঁচ বছরের শিশুসন্তান বাবার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো- বাবা এসির মতো বাতাস, এতো ঠাণ্ডা কেন? শিশুটিকে জড়িয়ে ধরা বাবা বললেন, এটা এসি নয় বাবা, প্রকৃতির বাতাস বইছে। খানিকক্ষণ পর শিশুর প্রশ্ন, বাবা এটা আল্লাহর এসি, এজন্য ঠাণ্ডা বেশি লাগছে। ছেলেটির বাবা বললেন হ্যাঁ বাবা, রাত বেশি হলে আরও ঠাণ্ডা পড়বে। পাশে নিশ্চুপ বসা শিশুটির মা চাদর দিয়ে বাতাস থেকে শিশুসন্তানকে রক্ষার চেষ্টায় ব্যস্ত। 

সিলেটের প্রকৃতিতে এমন হিমশীতল হাওয়া ‘শৈত্যপ্রবাহ’ বা ঘন কুয়াশা বইছে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে। দিনভর সুর্যের মিষ্টি কিরণ থাকলেও ছিল শীতল অনুভূতি।

আর রাতের আঁধারে হিমশীতল হাওয়ার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।

ঘন কুয়াশা যেন গাড়ির গতিবিধিকেও নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে হেডলাইটের আলো থাকলেও সাবধানে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে চালকদেরও। রাতের আকাশে ধোঁয়ার মতো কুয়াশা উড়তে দেখা গেছে সিলেটের আকাশে। খোলা আকাশের নিচে খানিকটা সময় দাঁড়ালে গায়ে পড়েছে কুয়াশার আস্তরণ। আর লাইট পোস্টের আলো যেন ঢেকে দিচ্ছিল কুয়াশায়।

সিলেটে শৈত্যপ্রবাহে আবহাওয়ার এমন অবস্থা ছিল মঙ্গলবার দিনগত রাতে।    

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও রাতে ‘ফগ’ বা ঘন কুয়াশা রয়েছে। বুধবারও (৮ জানুয়ারি) সিলেটের আকাশে ঘন কুয়াশা থাকবে।  

আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ার কারণে ঘন কুয়াশা হয়। যেটাকে মেট্রোলজিক্যাল ভাষায় ‘ফগ’ (ঘন কুয়াশা) বলা হয়। এটা হলে ১/২ কিলোমিটারও দেখা মুশকিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।