ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক পাড়ি দিচ্ছে যান। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: পৌষ মাসের দুই সপ্তাহ পূরণ হতে চলেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় মোড়ানো থাকছে উত্তরাঞ্চল। ঘন কুয়াশার মধ্যে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।

সম্প্রতি শীতের আবহ শুরু হয়ে দিন দিন তা বেড়েই চলছে। দিন গড়িয়ে রাত পেরনোর পর ক্রমেই বাড়ছে কুয়াশার তীব্রতা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ভোর সাড়ে ৬টায় বগুড়া সদর উপজেলার খান্দার থেকে সিরাজগঞ্জ রোডের চৌরাস্তা পর্যন্ত, সদর উপজেলা থেকে শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে শাজাহানপুর থেকে শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা পর্যন্ত রয়েছে ঘন কুয়াশা ও একাধিক বাঁক। রাতের আঁধারে ওই সব এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করা হয়ে ওঠে ঝুঁকিপূর্ণ। হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক পাড়ি দিচ্ছে যান।  ছবি: আরিফ জাহানসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায় মহাসড়কে যানবাহনগুলো দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।  এরমধ্যে চান্দাইকোনা, ভূঁইয়াগাতি, নিমাগাছী, সাহেবগঞ্জ, হাটিকুমরুলসহ একাধিক স্থানে ছোটখাট বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। এসব স্থানে আলোর ব্যবস্থা থাকলেও মহাসড়কের দীর্ঘপথটা ফাঁকা রয়েছে। মহাসড়কের ফাঁকা দু’পাশে কুয়াশা বুঝিয়ে দিচ্ছিলো বিস্তীর্ণ ফসলি জমি সেখানে। এসব ফাঁকা স্থান দিয়ে তীব্র বেগে ধেয়ে আসতে থাকে কুয়াশা। এসব এলাকায় চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর দৃশ্যটা ভয় পাওয়ার মতন।

সিরাজগঞ্জ রোডের গোলচত্বর এলাকায় হোটেলে বসা আমজাদ, এমদাদুল, সোলাইমানসহ কয়েকজন বাস ও ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা হয়।

তারা বাংলানিউজকে জানান, জোড়াতালির মহাসড়ক মাড়িয়ে তাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার যোগ হয়েছে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা। এছাড়া সম্প্রতি সারাদেশে শীতের আবহ বেড়েছে অনেকটা।

চালক ফজলু মিয়া, হেদায়ত আলী বাংলানিউজকে জানান, ট্রাকের সময় নির্ধারন না থাকলেও বাসকে সময় মেনে চলাচল করতে হয়। এ কারণে ট্রাকচালকদের তুলনায় বাস চালকরা অনেকটা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। সেক্ষেত্রে তারা তীব্র কুয়াশার মধ্যেও একই কাজটি করেন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে, থাকে জীবন হারানোর ঝুঁকি। এরপরও সবাই বেপরোয়াভাবেই গাড়ি চালায়। হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক পাড়ি দিচ্ছে যান।  ছবি: আরিফ জাহানমহাসড়কের রাস্তার দু’পাশ থেকে মাঝেমধ্যেই কুয়াশা যেন চেপে বসে। তখন সবকিছু যেন দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে চালক যানের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হন।

সুমন, সাইদুর, ইব্রাহিমসহ একাধিক যানবাহনের চালক বাংলানিউজকে এমনটাই জানান।

তারা আরও জানান, কুয়াশার মধ্যে সন্ধ্যার পর মহাসড়ক দিয়ে উত্তরের জেলা শহরগুলোতে যেতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফাঁকা স্থানে কুয়াশার দাপট বেশি।  তাই গাড়ি চালাতে হচ্ছে ধীরগতিতে। চারদিক থেকে কুয়াশা চেপে ধরে, যেন কিছুই চোখে পড়তে চায় না। তখন গাড়ি থামিয়ে সামনের গ্লাসে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়।

বগুড়া আবহাওয়া অধিদফতারের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সম্প্রতি শীতের আবহ বেড়েছে। হিমালয় পাদদেশীয় উত্তরাঞ্চলজুড়ে শীত জেঁকে বসেছে। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের মাত্রা। এর প্রভাব পড়ছে উত্তরাঞ্চলের জেলা শহর বগুড়াতেও। দিন যত যাবে কুয়াশার দাপট ততই বাড়বে। শনিবার জেলায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। উত্তরের ঠাণ্ডা বায়ু প্রবাহ বেড়েই চলছে। ফলে রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে বইতে শুরু করছে অনেকটা হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশাও বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।