ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দরবনের দুর্ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪
সুন্দরবনের দুর্ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলছেন, সুন্দরবনের দুর্ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরণের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা যায় তার জন্য সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি সমন্বয়ে একটি সার্বক্ষণিক টিম বা কন্টিজেন্ট গড়ে তোলা দরকার।



খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ‘অয়েল স্পিলস ইন দ্য সুন্দরবানস: আওয়ার কনসার্ন’ শীর্ষক এক সেমিনার তিনি এসব বলেন।

উপাচার্য বলেন, সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেল দুর্ঘটনার পর এ পর্যন্ত গবেষণাসহ বিভিন্ন মাধ্যমের পর্যবেক্ষণে যা পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায় তাৎক্ষণিক কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ক্ষয়ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সুন্দরবনের এ দুর্ঘটনায় দীর্ঘমেয়াদী কতটা প্রভাব পড়বে অথবা আদৌ পড়বে কিনা সে ব্যাপারে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গবেষকদের সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আরও বেশী গবেষণার আহবান জানান।

মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্যা সুন্দরবানস (সিআইএসএস)।

সিআইএসএস এর পরিচালক প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

সেমিনারে বক্তরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও পরামর্শ তুলে ধরে সুন্দরবনের নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকারের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন, টাস্কফোর্স গঠন, দুর্ঘটনার বিষয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা কার্যক্রম ও মনিটরিং অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সুন্দরবন বিভাগ(পশ্চিম) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সিআইএসএস এর পরিচালক প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর এ কে ফজলুল হক, পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্ত, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাজমুল আহসান, ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান, পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সালেকুজ্জামান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. রেজাউল ইসলাম, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার, ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত, অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, সয়েল সায়েন্স ডিসিপ্লিনে সহযোগী অধ্যাপক মো. সানাউল ইসলাম, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়ামিন কবির, পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান, সয়েল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. হানিফ, সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, রুপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সুন্দরবনের ওপর কর্মরত এনজিওর পরিচালক মাহমুদুর রহমান, বাপার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, আইআরডির কাজী সাজিদ প্রমুখ।

সেমিনার শেষে একটি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয় যা পরবর্তীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।  

সেমিনারে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের প্রধান, শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।