ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পেট্রল বোমায় দগ্ধ মা-ছেলে আশংকামুক্ত নন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
পেট্রল বোমায় দগ্ধ মা-ছেলে আশংকামুক্ত নন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকাঃ রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় পেট্রল বোমা হামলায় দগ্ধ স্কুল শিক্ষিকা শামসুন নাহার বেগম এবং তার ছেলে তানজিমুল হক অয়ন আশংকামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতালের আগের দিন রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে  কাজীপাড়ায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

ওই আগুনে দগ্ধ হন তারা। ঘটনার সময় অটোরিকশায় শামসুন নাহারের মেয়ে সালমা আনিকাও ছিল। তার কান ও হাতের অংশবিশেষ পুড়ে গেছে।

আগুনে শামসুন্নাহার বেগমের শরীরের ৯ ভাগ এবং অয়নের ১০ ভাগ পুড়ে গেছে। ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল বাংলানিউজকে বলেন, “আগুন তাদের শ্বাসনালী পর্যন্ত পৌঁছেছে, একে ইনহ্যালেশন বার্ন বলে। শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবার আগে দু’জনের কাউকে আশংকামুক্ত বলা যাবে না। ”

মঙ্গলবার ঢামেক বার্ন ইউনিটের ৬০২ নম্বর কেবিনে গিয়ে দেখা গেল দগ্ধ মা ও ছেলে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নয়, তাকে চিন্তিত দেখা গেল ছেলের জন্য। আর এই দু’জনকে নিয়ে চিন্তিত অয়নের বাবা জাবের উদ্দিন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অয়নের শারীরিক অবস্থা তার মায়ের চেয়েও গুরুতর। আগুনে পুড়ে গেছে তার মুখ।

অয়নের বাবা জাবের উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কয়েক বছর ধরে ছোট মেয়ে আনিকা মাথা ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগছে। তাকে ডাক্তার দেখাতে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ঢাকায় এসে তার মামার বাসায় অবস্থান করেন শামসুন নাহার ও আনিকা। শান্তিনগরের পপুলার হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় তারা এ বীভৎস ঘটনার শিকার হয়।

দগ্ধ শামসুন নাহার বেগম হাতিয়া ইউনিয়ন মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারে, বিএনপির স্থানীয় পাঁচ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা না করায় পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। এপর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ”

মামলার এজাহারে উল্লেখিত বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মামলার এজাহার প্রসঙ্গে কিছু না বলার নির্দেশ রয়েছে। এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের নাম প্রকাশ করলে তারা পালিয়ে যেতে পারে বলেই এই সিদ্ধান্ত।

বাংলাদেশ সময়ঃ ২৩৫৯ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।