ঢাকা: মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনির চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে সহায়তার জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত এ নির্দেশ দেন।
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব সদর দফতরের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক শাখার সহকারী পরিচালক মো. ওয়ারেছ আলী মিয়া আদালতে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ১৫৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ২৭ জন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে বিটিআরসি’র সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৭ ডিসেম্বর একটি সভায় সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আদালত তার আদেশে উল্লেখ করেন, মামলার ঘটনা স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর। এছাড়া দীর্ঘদিন মামলা তদন্তাধীন থাকায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
আগামি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে ৩০তম বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন এ সাংবাদিক দম্পতি।
এ মামলার ৭ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদ, বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল ও অপর দারোয়ান এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির কারাগারে আটক রয়েছেন।
অন্যদিকে দীর্ঘ ২৬ মাস কারাগারে আটক থাকার পর সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আসামি তানভীর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪