ঢাকা, সোমবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

কারমাইকেল কলেজের ৬ শিক্ষককে হত্যা করেন আজহার

সাজ্জাদ বাপ্পী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
কারমাইকেল কলেজের ৬ শিক্ষককে হত্যা করেন আজহার

রংপুর: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করায় রংপুর কারমাইকেল কলেজে মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

একই সঙ্গে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।



এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বিনতে হুসাইন নাসরিন বানু জানান বাংলানিউজকে জানান, ’৭১ সালে কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে জামায়াত নেতা এটিএম আজহার।

অনেকদিন পরে হলেও তার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষিত হওয়ায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজাকার-আলবদরদের রংপুর অঞ্চলের নেতা আজহার শুধু শিক্ষক ও ছাত্রই নয়, অনেক সাধারণ মানুষকেও হত্যা করেছে। সরকার এই রায় দ্রুত কার্যকর করবে বলে ‍আশা প্রকাশ করছি।
 
এদিকে, কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ শাহি ফজলুল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের নেতৃত্বে কলেজের অধ্যাপক আব্দুর রহমান, শাহ সোলায়মান আলী, কালাচাঁদ রায়, চিত্তরঞ্জন ঘোষ, বরুণ চক্রবর্তী ও রামকৃষ্ণ অধিকারীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।

পরে নগরীর দমদমা এলাকায় তাদের হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে। সে সময় কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রকেও ধরে নিয়ে যায় বলে জানান মুহাম্মদ শাহি ফজলুল।

তিনি জানান, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে হলেও এই রায় দেওয়ায় তারা খুশি।

রায় যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সে জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তুরিন আফরোজ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে কলেজের শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল কখন রায় ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, রায় যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সেটাই এখন কলেজ শিক্ষার্থীদের চাওয়া।

রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তারেকুল বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু আজহারের ভয়াবহ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমার বাবার মুখে শুনেছি। এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়, আমি সে দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে, রায় ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করে।

অপরদিকে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুর উপজেলায় বিজিবির পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।