ঢাকা, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৬ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বরিশাল: বরিশালে নগরে চার বছর বয়সী কন্যাশিশু ধর্ষণ মামলার আসামিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত মো. সুজন (২৪) নগরের ধান গবেষণা রোড জিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা মো. মনিরের ছেলে।

পেশায় সুজন থ্রি-হুইলার চালক ছিলেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে তার মরদেহ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার বিকেলে নগরের ধান গবেষণা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে জিয়ানগর এলাকায় ওই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার সুজনকে আসামি করে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। পরে শনিবার বিকেলে অভিযুক্তকে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সুজনের শরীরের পেছনের অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনার পরেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে অথবা ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়।  

এদিকে শিশুর রিকশাচালক বাবা বলেন, সুজনের বাসার মালিক শুক্রবার দুপুরে তার কন্যাকে বাটিতে তরকারি দেন। তরকারি রেখে বাটি ফেরত দিয়ে বাসায় ফেরার সময় দেখতে পায় সুজনের ঘরে টিভিতে কার্টুন চলছে। তখন কার্টুন দেখতে চেয়ারে বসে পড়ে তার কন্যা। এ সময় বাসায় একা থাকা সুজন তার কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সে চিৎকার করলে বাসা থেকে বের করে দেন সুজন। ঘরে ফেরার পর বিষয়টি সে তার মাকে জানায়। পরে তারা এ বিষয়ে বাসার মালিকের কাছে বিচার দেন। পরে পুলিশ এসে ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শনিবার থানায় তারা মামলা করেছেন। সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে শুনতে পান সুজনকে এলাকাবাসী ধরে মারধর করেছে। এখন শুনছি তিনি মারা গেছেন।  

অপরদিকে নিহত সুজনের মা মঞ্জু বেগম অভিযোগ করেন, তার ছেলে নির্দোষ। মাদক বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পরে ২০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য কয়েকজন প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় বাধন, বাচ্চু, সাদ্দামসহ ১০ থেকে ১৫ জন তার ছেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন মঞ্জু ও তার স্বামী মো. মনির।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।