ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে আসেন এসব শিক্ষার্থীরা।
ঢাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা বিভাগের মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, সন্ত্রাসী লীগেরা শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের প্রকাশ্যে হত্যা করছে। কিন্তু আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। তাদের বিচার না করে কেউ কেউ তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাদের নিজ পরিবারের সদস্য মনে করছে। আবার কেউ তাদের নিষিদ্ধ করা সমর্থন করছে না।
তিনি বলেন, খুনি আওয়ামী লীগের বিচার না করার চেয়ে চব্বিশের রক্তের সঙ্গে বড় বেঈমানি আর হতে পারে না। যেসব সন্ত্রাসীরা জুলাই আন্দোলনে হত্যা করতে মদদ দিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী লীগকে বিচারের আওতায় আনুন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ বিভিন্ন রূপে ফিরে এসেছে। কখনও আনসার লীগ আবার কখনো বা রিকশাচালক হয়ে ফিরেছে। কতটা স্পর্ধা দেখালে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে তারা প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে। কাদের মদদে তারা এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার সাহস করেছে, সে জবাব তাদের আমাদের কাছে দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে হবে এখনো কীভাবে ছাত্রলীগের খুনিরা প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
তিনি বলেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশে কোনো নাশকতা করার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে বাংলাদেশের জনগণই তাদের প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট।
মাস্টার দা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, দুই হাজার শহীদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কিন্তু এই খুনি লীগ নতুন কর্মসূচি দিয়ে আবার মাঠে আসার পাঁয়তারা করছে। পাঁচ মাস অতিবাহিত না হতেই তারা কীভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়!
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের অতি সুশীলতার কারণে আজকে এ খারাপ অবস্থা হয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে ছাত্র-জনতা চব্বিশের অভ্যুত্থানে যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছে, এবারও সেভাবে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
আরআইএস