পাবনা (ঈশ্বরদী): বিধি মোতাবেক অর্জিত মাইলেজ দেওয়ার দাবিতে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আন্তঃনগর দুটি ট্রেনের সামনে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছেন রেলওয়ে রানিং স্টাফরা।
আগামী ২৭ জানুয়ারি রাত ১২টার মধ্যে দাবি না মানলে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ ও চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছালে রেলওয়ে রানিং স্টাফরা রেললাইনে বিক্ষোভ করেন।
পরে অবরোধকারীরা রেলপথ থেকে সরে গেলে আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ঈশ্বরদী স্টেশন ছেড়ে গেলে দুই নম্বর প্লাটফর্মে পথসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশে অংশ নেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই’জ), ট্রেনচালক (এলএম), সহকারী ট্রেনচালকরা (এএলএম)।
সমাবেশে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে রানিং স্টাফরা ঈশ্বরদী শাখার দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন-রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন, রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, রেল শ্রমিকদল ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মাসুদ রানা নয়ন, শ্রমিক দল ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক ছবি মণ্ডল, রানিং স্টাফ-কর্মচারী ইউনিয়ন ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন টিটিই’জ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আকরামুল হকসহ অনেকে।
রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ব্রিটিশ আমলে এদেশে রেল চালুর শুরু থেকে ১৬০ বছরের বেশি সময় ধরে রেলওয়েতে প্রচলিত কোড ও বিধি বিধানের আলোকে রানিং স্টাফরা ‘পার্ট অফ পে’ রানিং অ্যালাউন্স এবং ৭৫% রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন পেয়ে আসছি।
ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ০৩/১১/২০২১ তারিখের চিঠির অসম্মতি প্রত্যাহার করে লিখিত আদেশ জারি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
এসআই