টাঙ্গাইল: পুলিশের হাতে আটক টাঙ্গাইলের যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়ানোর জন্য জামায়াত নেতাকর্মীরা তদবির চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে ওই দুই যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকে শহরের বৈল্লা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে দেখা গেছে টাঙ্গাইল মডেল থানায় জামায়াতের জেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে বসে আছেন। তারা জানান তাদের দুইজনকর্মীকে ছাড়াতে এসেছেন। অতীতে তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে স্বীকার করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত সময়ে মানিক বাবু ও ইসমাইল দুজনে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ইমুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের ছবিও রয়েছে এই দু্ইজনের। পাশাপাশি ২০১৯ সালের টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির তালিকায় ২০নং সদস্য হিসেবে রয়েছেন মানিক বাবু।
পৌরসভার আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, একজন এক দল করতেই পারে কিন্তু আটককৃতরা আমাদের দলের সহযোগী কর্মী হয়। অন্য দল হলে আমরা ছাড়াতে আসবো কেন?
টাঙ্গাইল জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন, যে দুজন আটক হয়েছে তারা আমাদের কর্মী, তারা এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো। তবে তারা এখন আমাদের কর্মী।
টাঙ্গাইল জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন আগে আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলো। এরপর থেকে তারা আমাদের দলের হয়ে কাজ করছে ও দলের সক্রিয় সদস্য।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মেদ জানান, জামায়াতের লোকজন দাবি করছে তাদের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো। এছাড়াও মানিক বাবু নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করছে। যাছাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
এমএম