ফরিদপুর: ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে ওবায়দুর রহমান (৩২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যাকাণ্ডে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মামলায় খায়রুজ্জামান খাজাকে প্রধান আসামি ও তার ভাই কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইনসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নিহত ওবায়দুর রহমানের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর মমতাজ ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলের তেল আনতে গেলে সেখান থেকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে ওবায়দুর রহমান খানকে কুপিয়ে পিটিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে আসামিরা।
নিহত ওবায়দুর রহমান সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছোট ছেলে। পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী সুইটি বেগম বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো এটাই তার অপরাধ। একারনে তাকে জীবন দিতে হলো। আমার বিয়ে হয়েছে দুই বছর হলো। ৬ মাস বয়সী একটি সন্তান আছে। আমার সন্তান বাবা ডাকার আগেই তার বাবা চলে গেলো।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর সে বলেছিল আমাকে প্রাণে মারিস না, প্রয়োজন হলে হাত পা কেটে দে। কিন্তু ওরা তা শুনেনি। আমার স্বামীর প্রাণটাই নিয়ে নিলো। খাজাসহ যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানান তিনি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, যুবক ওবায়দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার মা রেখা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। খায়রুজ্জামান ওরফে খাজাকে প্রধান আসামি করে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
জেএইচ