ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভুল’ স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন!

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
‘ভুল’ স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন!

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন দুইজন। সম্প্রতি উপদেষ্টার কাছে ওই দুজন লিখিত আবেদন করেছেন।

এদের একজন মুন্সিগঞ্জের এবং একজন রাজবাড়ীর। তারা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেননি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এমন আবেদনকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, যারা মুক্তিযোদ্ধা না হলেও তালিকায় নাম উঠেছে তারা যেন প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী। তিনি বলেন, মাননীয় উপদেষ্টার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। তারা বলেছেন যে আমরা আমাদের ভুল স্বীকার করছি, আমরা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও ভাতা নিচ্ছি। তারা এভাবে লিখেছেন।  

বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে দুজনের মতো আরও আবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।

সচিব বলেন, মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় বলেছিলেন যারা মুক্তিযোদ্ধা না তাদের ক্ষমার আওতায় আনা হবে। এরকম আরও যারা নিজেরা বলেন যে তারা মুক্তিযোদ্ধা না তারা সাড়া দেবেন। তারা বলেছেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা না, এবং দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি বা ক্ষমা প্রার্থনা করছি।  

সাংবাদিক সম্মেলনে উপদেষ্টার সেই বক্তব্য উল্লেখ করে তাদের একজন লিখেছেন যে, আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে স্বেচ্ছায় গেজেট এবং সনদ বাতিল করার জন্য আবেদন করেছি। আর ভুলের জন্য মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেননি বলে উল্লেখ করেন।

আরেকজন বেসামরিক গেজেট এবং লাল মুক্তিবার্তা থেকে নাম প্রত্যাহার এবং দায়মুক্তির অনুরোধ করেছেন।  

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের নিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা ভুল স্বীকার করে আবেদন করলে তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে বলে জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওই দিন বলেন,  আমরা একটা ইনডেমিনিটিও (সাধারণ ক্ষমা) হয়তো দেব যে, যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আসছেন, তারা যেন স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। যদি চলে যান, তাহলে হয়তো তারা সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারেন। আর যদি সেটা না হয়, আমরা যেটা বলেছি যে এই প্রতারণায় দায়ে আমরা তাদেরকে অভিযুক্ত করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।