ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরে জাহাজে সাত খুন

ফরিদপুরের নিজ বাড়িতে মামা-ভাগ্নের দাফন সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
ফরিদপুরের নিজ বাড়িতে মামা-ভাগ্নের দাফন সম্পন্ন

ফরিদপুর: চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের সারবাহী জাহাজে সাতজন নিহতের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া (৬৫) ও সবুজ শেখের (২৬) মরদেহ নিয়ে চাঁদপুর থেকে ফরিদপুরের বাড়িতে পৌঁছায় মঙ্গলবার রাত ১০টায়। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।

 

রাতেই (মঙ্গলবার) স্থানীয় গফুর মাতুব্বরের গোরস্থানে নিহত মামা-ভাগ্নের মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুর থেকে দুইজনের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন নিহত সবুজের ভাই মিজানুর রহমান।  

জানা গেছে, নিহত গোলাম কিবরিয়া (৬৫) জাহাজটির মাস্টার ছিলেন এবং সবুজ শেখ (২৬) লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা ফরিদপুর সদরের গেরদা ইাউনিয়নের জোয়ারের মোড় এলাকার বাসিন্দা। গোলাম কিবরিয়া সদরের জোয়ারের মোড়ের মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। এ জেলার নিহত অপরজন সবুজ শেখ গোলাম কিবরিয়ার ভাগ্নে। গোলাম কিবরিয়া এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা এবং সবুজ ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ও অবিবাহিত ছিল। মামা-ভাগ্নের নিহত হওয়ার খবর বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।  সবুজের মা রাজিয়া বেগম বারবার অজ্ঞান হয়ে যান।  

নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে গোলাম কিবরিয়া ও সবুজ শেখ বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে বের হন। সোমবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা এ মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারেন। সোমবারই কিবরিয়ার জাহাজে শেষ কর্মদিবস ছিল বলে স্বজনরা জানান।  

নিহত সবুজ শেখের বড় ভাই মিজানুর রহমান ওরফে ফারুক জানান, এক মাস আগে মামা কিবরিয়ার সঙ্গে জাহাজের কাজে যোগ দিয়েছিলেন আমার ভাই সবুজ। হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। মরদেহ শনাক্তের পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে লাশবাহী গাড়ি আমাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। সঙ্গে আমার দুই ভাই, এক মামাসহ ৭জন সদস্য ছিল। বাড়িতে পৌঁছাতে তাদের রাত ১০টা বাজে। পরে রাতেই (মঙ্গলবার) স্থানীয় গফুর মাতুব্বরের গোরস্থানে নিহত মামা-ভাগ্নের মরদেহ দাফন করা হয়।

জানা যায়, জাহাজটিতে থাকা ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে এদের মধ্যে বেঁচে যাওয়া জুয়েল রানার (৩৫) বাড়িও ফরিদপুর সদর উপজেলার বকারটিয়া গ্রামে। জুয়েল চার বছর ধরে ওই জাহাজে কাজ করছিলেন। তিনি বকারটিলা গ্রামের সেকেন্দার খালাসির ছেলে। আহত জুয়েল রানাকে সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে নাক, কান ও গলা বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। জুয়েল রানার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় সেখানে টিউব যুক্ত করা হলেও তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।