ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেদুইন সাত্তার আর নেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
নড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেদুইন সাত্তার আর নেই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মোল্যা ওরফে বেদুইন সাত্তার

নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মোল্যা ওরফে বেদুইন সাত্তার (৯৬) মারা গেছেন।  

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ৯৬ বছর বয়সি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সেঝ ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরোক।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বাদ যোহর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।  

জানা যায়, জেলার কালিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের স্থানীয় মাতব্বর এবং ব্রিটিশ আন্দোলনের নেতা নোয়াই মোল্যার ছেলে আব্দুস সাত্তার মোল্যা। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত হয়ে যান। ১৯৬০ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে নড়াইল সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। সেই সময় থেকেই যেখানেই বঙ্গবন্ধুর সভা সেখানেই ছুটে যেতেন, সেটি খুলনা হোক অথবা চট্টগ্রাম কোনো কিছুই তাকে থামিয়ে রাখতে পারতো না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে ভালোবেসে বেদুইন সাত্তার নাম দেন। সদ্য স্বাধীন বাংলার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে এক জনসভায় যার নাম দেন বেদুইন সাত্তার।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এই কথা তিনি মহকুমা শহর নড়াইলে এসে জানতে পারেন ১৬ আগস্ট সকালে। পরদিনই পত্রিকায় সে খবর ছাপা হয়, তিনি জানতে পারেন নিজের বাড়ির সিঁড়িতেই বুলেটে শেষ হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সিঁড়িতে খালি পায়ে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে থাকার কাহিনি শুনে প্রতিজ্ঞা করেন জীবনে আর স্যান্ডেল পায়ে দেবেন না। যেমন প্রতিজ্ঞা তেমনই কাজ, এরপর থেকে খালি পায়ে হেঁটে বেড়াতেন বেদুইন সাত্তার। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকরের খবর শুনে ৩৫ বছর পরে স্যান্ডেল পায়ে দেন এই বঙ্গবন্ধু ভক্ত।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।