ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারত থেকে চাল আমদানি প্রসঙ্গে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাণিজ্য ও রাজনীতিকে একসঙ্গে দেখছি না। আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলবো না।
পাশাপাশি আমরা একক কোনো একটি দেশের ওপর নির্ভর করব না। যেহেতু আমাদের খাদ্য ঘাটতি আছে, আমরা অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করব। আমরা সে চেষ্টা করছি। ভারতের থেকে চাল আমদানি বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আমরা একসঙ্গে দেখছি না, বাণিজ্যকে আমরা বাণিজ্যিকভাবে দেখছি, যোগ করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। সেটিকে ৩০ লাখ টন করার জন্য কাজ করছে সরকার।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আশুগঞ্জে মেঘনানদীর তীরে নির্মাণাধীন স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, যখন দেশে চালের ভালো উৎপাদন হয়, তখন আমদানির পরিমাণ কম হয়। তবে খাতটি পূরণের জন্য মাঝে মধ্যে আমদানি করতে হয়। এবার বন্যায় পূর্বাঞ্চলে কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, খাদ্য ঘাটতি হতে পারে। এজন্য আমরা খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলো আমদানি করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আমরা প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছি, মূলত ভারত থেকে। দ্বিতীয়ত সরকার টু সরকারের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগের মধ্যমে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। আলোচনায় আছে ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানির বিষয়টিও। এছাড়া থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার সরাসরি ওই দেশে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাল আমদানি করবে, বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৭০ লাখ মেট্রিক টন গমের চাহিদা রয়েছে। আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টনগম। এর বেশি উৎপাদন আমাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছে। গম চাষে জমিগুলো এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। বেসরকারি খাত আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
পরিদর্শনকালে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কানিজ জাহান বিন্দুসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
এসআই