ঢাকা: জুলাই অভ্যুত্থানে দুই হাজারের কাছাকাছি শহীদ ও অসংখ্য আহতের ওপর নতুন বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এ আহতদের দায়িত্ব ঠিকমতো নিচ্ছে না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্তান ও অভিভাবকদের এক সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।
সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সোহেল আহমেদসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও অঙ্গ হারানো একাধিকজন উপস্থিত ছিলেন।
আনু মুহাম্মাদ বলেন, সরকার গঠনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি কাজ প্রাধান্য ছিল। এক. শহীদ ও আহত যারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেওয়া। দুই. জিনিসপত্রের দাম কমানো। তিন. সমাজে যেন সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।
তিনি আরও বলেন, এ তিনটি বিষয়েই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যারা আহত ছিলেন, পঙ্গু হাসপাতালের সামনে তাদের রাস্তায় নেমে আসতে হলো। কয়েক মাসও হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, তালিকা নিখুঁত রাখার চেষ্টা করছি। তিন মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদের সবার অধিকার আছে মাথা তুলে দাঁড়াবার। তোমরা আসো, আমি আমার মন্ত্রণলায় থেকে স্পেশাল কমিটি করবো।
মঈন খান বলেন, রাষ্ট্র কেন আহতদের দায়িত্ব নেবে না। এটা তো আমাদের বলার প্রয়োজন হয় না। আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। অন্যদিকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। তারা ইতোমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আমরা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
আরবি