ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি, আ. লীগ নেতা কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
নরসিংদীতে একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি, আ. লীগ নেতা কারাগারে

নরসিংদী: নরসিংদীর বেলাবতে একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার ই আলম প্রধানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট ৩য় আদালতের বিচারক মো. মেশকাতুল ইসলাম তার জামিন আবদেন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত কায়সার ই আলম প্রধান বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আব্দুল গফুর মাস্টারের ছেলে। তিনি জুপিটার পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আরিফুর রহমান কায়সারের কাছ থেকে উজিলাব মৌজায় ৯.২৫ শতাংশ জমি কেনার কথাবার্তা হয়। তারা জমির মূল্য ২৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। পরে কথামতো আরিফুর দুই ধাপে ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে। পরে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর কায়সার আলম দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বেলাবো সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল সম্পাদনের জন্য ১০ পাতা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই করেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রেশন না করে দিয়ে সেখান থেকে কৌশলে চলে আসেন। পরে জানা যায়, ওই জমি আরও চারজনের কাছে বিক্রি করেছেন। তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে কায়সার তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়।

পরে আরিফুর রহমান নরসিংদীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেটের বেলাব আমলি আদালতে কায়সার ই আলম প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত বেলাব থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বেলাব থানার এসআই আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে আসামিদের সমন জারি করা হলে কায়সার ও ৪ নাম্বার আসামি নাজমুল ইসলাম সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। আদালত সব কিছু পর্যালোচনা করে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় কায়সারকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আর নাজমুলের জামিন মঞ্জুর করে বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, বাদী সরল বিশ্বাসে জমি কেনার জন্য তাকে টাকা দিয়েছে। কিন্তু সে বাদীর কাছ থেকে জমি বিক্রির টাকা নিয়েও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা আদালতে তার সই করা সব আসল ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি। যার ফলে আদালত সব কিছু বিবেচনা করে তাকে কারাগারে পাঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
জেএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।