ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাইব্যুনালের আইনে নয়, ঐক্যের ভিত্তিতে দল নিষিদ্ধ: আসিফ নজরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
ট্রাইব্যুনালের আইনে নয়, ঐক্যের ভিত্তিতে দল নিষিদ্ধ: আসিফ নজরুল

ঢাকা: রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে থাকছে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন বা দাবি ওঠে তবে সেটি রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে করা হবে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আগের আইনের বলা ছিল কোনো রাজনৈতিক দল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে ট্রাইব্যুনাল চাইলে নিষিদ্ধ করতে পারবে। তবে আজকের উপদেষ্টা পরিষদে সেটি সংশোধন করা হয়েছে। এখন ট্রাইব্যুনাল যদি প্রয়োজন মনে করে তবে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে আসলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রশ্ন সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। ফেয়ার ওয়েতে (সুষ্ঠভাবে) বিচার করতে চাই।

আসিফ নজরুল বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয় বা দাবি ওঠে তাহলে অন্যান্য আইন রয়েছে, সেগুলোতে নিষিদ্ধ করা হবে। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল শুধু যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবে। সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচন আইনের রয়েছে। রাজনৈতিক ঐক্য হলে পরে বিবেচনা করবো। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আর বিষয়টি থাকবে না।  

আইন উপদেষ্টা জানান, খসড়ায় বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন তারা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কনসার্নড অথোরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন। `কনসার্নড অথোরিটি’ হিসেবে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করতে পারে। তবে এসব বিষয় খসড়ায় বলা নেই।

আসিফ নজরুল বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইনটি পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মতামত নিয়েছি। দেশের যত আইন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী আছেন, সবার মতামত নিয়েছি। দেশি-বিদেশি প্রসিদ্ধ আইনজীবীদের মতামত নিয়েছি, জাতিসংঘের মানবাধিকার ফোরামেও পাঠানো হয়েছে। সকল মতামতের ড্রাফট করে আজ উপদেষ্টা পরিষদ উত্থাপন করা হলে তা পাস হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে যেন কোনো ধরনের প্রশ্ন উঠতে না পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
এমইউএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।