ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে সমুদ্র ছুঁয়ে এবার রাতেও নামছে প্লেন

সুনীল বড়ুয়া,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
কক্সবাজারে সমুদ্র ছুঁয়ে এবার রাতেও নামছে প্লেন

কক্সবাজার বিমানবন্দরে এখন রাতেও নামছে প্লেন। যে কারণে এখন থেকে পর্যটকেরা সমুদ্র ছুঁয়ে রানওয়েতে নামার রাতের সেই অপরূপ দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন।

বিমান চলাচলের সময়সীমা বাড়ার কারণে পর্যটকেরা চাইলে এখন দিনে এসে দিনে কক্সবাজার ঘুরে ফিরতে পারবেন।

যেটি পর্যটন খাতের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার হাতছানি।  

এতদিন কক্সবাজার বিমানবন্দরে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ ওঠানামা করলেও গত রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে এই সময় রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তুজা হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ৪টি পরিবহন সংস্থার ১৮টি ফ্লাইট চলাচল করে।  

তিনি বলেন এতদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা করলেও গত রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্লেন ওঠানামা করা হচ্ছে। যাত্রীর চাহিদা বিবেচনা করে রাতের ফ্লাইট আরও বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত এর আগে গত বছর নভেম্বরে কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের রেল চলাচল শুরু হয়।  ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ এবং মাঝে-মধ্যে একটি আন্তনগর ‘বিশেষ’ ট্রেন চালু রয়েছে।

রেলপথের পর এবার আকাশপথেও যাত্রীদের সুবিধা বাড়ায় চলতি মৌসুমে পর্যটন প্রসারে বড় সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।  

সাগরপারের পাঁচ তারকা হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টের কর্মকর্তা রূপক বড়ুয়া দেবু বাংলানিউজকে বলেন, রাতে বিমান চলাচলের সুযোগ পর্যটনখাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।  
এটি পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এখন কোনো পর্যটক ইচ্ছে করলে দিনে এসে রাতে ফিরতে পারবেন। এতে করে থাকা খাওয়ার খরচ সাশ্রয় হবে। যোগ করেন রূপক।  

কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শরমিন সিদ্দিকা বাংলানিউজকে জানান,রাতের বেলায় সমুদ্র ছুঁয়ে রানওয়েতে প্লেন নামবে সেটি ভাবতেই মন আন্দোলিত হচ্ছে।

আর সেই অপরূপ যারা বিমানের উপর থেকে সরাসরি উপভোগ করবেন তাদের তো প্রাণ ছঁয়ে যাবেই।  

সমুদ্রে সম্প্রসারিত দেশের সবচেয়ে বড় রানওয়ে: 

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার কাজ চলছে। ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। বেবিচকের অর্থায়নে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৯ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর দিকে বঙ্গোপসাগর চ্যানেল ভরাট করে আরও ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ইতমেধ্যে নতুন রানওয়ের নির্মাণকাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

গত ৩০ আগস্ট কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুরুল কবির ভূঁইয়া। এ সময় তিনি বলেন, সমুদ্রে সম্প্রসারিত ১ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে প্রস্তুত হলে এই বিমানবন্দেরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রানওয়ে হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এই বিমানবন্দরে সবধরণের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০২৪
এসবি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।