ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরে বন্যায় দেড় হাজার টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
চাঁদপুরে বন্যায় দেড় হাজার টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত

চাঁদপুর: এবারের বন্যায় দেশের সবচেয়ে বেশি আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এক হাজার ৬০০ টিউবয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

বিভিন্ন দফতর সূত্র ও আগের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দুই যুগ আগে দেশের সর্বোচ্চ আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে এ উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর থেকে আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২০১২ সালের পর থেকে সরকারিভাবে আর্সেনিকের কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৬৬৯ জন আর্সেনিকোসিস রোগী শনাক্ত করার হিসাব রয়েছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়ভাবে এ পর্যন্ত উপজেলায় তিনজন আর্সেনিকোসিস রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলায় সরকারি হিসেবে পাঁচ হাজার ৭৬৩টি গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) রয়েছে। এর মধ্যে এবারের বন্যায় এক হাজার ৬০০ টিউবয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে অগভীর টিউবওয়েল রয়েছে কয়েক হাজার। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ না হলে আর্সেনিক রোগীসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে শঙ্কা গ্রামের লোকদের।  

উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের বেততলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আকতার হোসেন শিহাব জানান, বন্যায় এলাকার বেশিরভাগ টিউবওয়েল ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলেও এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, এখানকার পানিতে এমনিতেই আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। আর এতোদিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।  

চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের কোয়ার গ্রামের শান্ত হাসান জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও লোকজন ভয়ে ডুবে যাওয়া টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছেন না।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম জানান, বিশুদ্ধ পানির সংকট কমাতে প্রায় ১৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। দ্রুত ইউনিসেফের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত টিউবওয়েলগুলো হাইজিন কিট দিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করা হবে।  

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সারোয়ার হোসেন জানান, বন্যায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করা মেডিকেল টিমের সদস্যরা আর্সেনিকসহ পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।