ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘পাল্টা অভ্যুত্থান’ নিয়ে হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
‘পাল্টা অভ্যুত্থান’ নিয়ে হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ঢাকা: পাল্টা অভ্যুত্থানের চক্রান্তের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি  দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।

ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

ক্ষমতাচ্যুতরা আবার বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছু করবেন না যেন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) জীবন বিপন্ন হয়। কারণ এদেশের জনগণ এখনো আপনাদের নিতে আসেনি।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লোক জড়ো করুন আর যাই করুন, এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। কারণ এদেশের পাবলিক এখনো আপনাদের নিতে আসেনি। আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅরগানাইজড (পুনর্গঠিত) করুন। পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটি আমরা ডিনাই করতে পারি না। পার্টিকে রিঅরগানাইজড করুন, একটি পলিটিক্যাল পার্টির মতো থাকুন। ইলেকশন এলে কনটেস্ট করবেন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন।

তিনি বলেন, এদেশের লোক এত তাড়াতাড়ি ভোলেনি। সময় দেন হয়তো ভুলে যাবে। এত তাড়াতাড়ি ভোলেনি, কারণ যাকে নেতা ধরছিলেন, সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাকে ধরছে তাকে আমরা বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছেন। আমরা জানি কে কোথায় আছেন।  

পাল্টা অভ্যুত্থানচেষ্টার আলোচনা প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ যদি মনে করেন, আবার কাউন্টার রেভ্যুলুশন (পাল্টা অভ্যুত্থান) করে আসবেন। কাউন্টার রেভ্যুলুশন করতে হলে আপনাকে আবার হাজার হাজার লোকের রক্ত বাইতে হবে। যদি আপনারা সেই দায়িত্ব নিতে চান তাহলে নিন। আমার কিছু করার নেই।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের যে ইয়ং জেনারেশন, এরা করেছে। কোনও পলিটিক্যাল পার্টি করেনি। দে হ্যাভ গিভেন দেয়ার লাইফ। যা আপনারা কোনোদিন দিতে পারতেন না। বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। তাদের দুঃখ নেই। দে আর অল স্মাইলিং।  

তিনি আরও বলেন, এরা (তরুণ প্রজন্ম) যতদিন আছে, আমাদের কথা বাদ দেন, আমরা দৌড় দেব। এরা যতদিন আছে, এরা দৌড়াবে না। দে উইল ফেস ইউ। সো প্লিজ, আমি অনুরোধ করছি। আমি একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলছি, দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।