ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোটা নিয়ে চলমান আন্দোলন বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা বলেছেন যে, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। আমরাও চাই তারা পড়ার টেবিলে ফিরুক। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারও সমাধানই করতে চায়।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা আলোচনার পথে যেতে চায়। সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনার দরজা খোলা আছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আন্দোলনকারীরা সবচেয়ে ইতিবাচক যে বক্তব্যটি দিয়েছেন তা হলো, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদির সঙ্গে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কোনোভাবেই জড়িত নয়। অর্থাৎ, তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও সন্ত্রাস হচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এ সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়েছে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য একই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয়, এখানে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা আরও বলেছেন, চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না। আমরা মনে করি, যেহেতু আন্দোলনের ভেতরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উপাদানগুলো দৃশ্যমান, কাজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার বলেছেন, তাদের আন্দোলনকে কেউ যেন ভিন্নখাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। অর্থাৎ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা আছে- যা আমাদেরও অভিমত এবং প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।

এমতাবস্থায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন এবং আমরা মনে করি তৃতীয় পক্ষের অসাধু সুযোগ নেওয়ার অপচেষ্টা রোধের জন্য আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চাই, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পড়ার টেবিলে ফিরতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।